National News

মাওবাদী বলে নিরীহ গ্রামবাসীদের মেরেছিল পুলিশ, ৭ বছর পর বিজাপুর গণহত্যার তদন্ত রিপোর্ট প্রকাশ

বিজাপুর জেলার সারকেগুড়ায় ওই গুলিচালনার ঘটনা ঘটে ২০১২ সালের ২৮ জুন। পুলিশি গুলিচালনা নিয়ে তুমুল সমালোচনার জেরে ছত্তীসগঢ়ের তদানীন্তন বিজেপি সরকারই এক সদস্যের ওই বিচারবিভাগীয় কমিশন গঠন করেছিল।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

বিজাপুর (ছত্তীসগঢ়) শেষ আপডেট: ০৩ ডিসেম্বর ২০১৯ ১৩:১৯
Share:

সে দিনের ঘটনার পর বিজাপুরের সারকেগুড়া গ্রাম। ছবি- টুইটারের সৌজন্যে।

ছত্তীসগঢ়ের বিজাপুরে পুলিশ নির্বিচারে গুলি চালিয়ে মাওবাদীদের নামে ১৭ জন নিরীহ গ্রামবাসীকে খুন করেছিল। ওই ঘটনায় কোনও মাওবাদী মারা যাননি। গ্রামবাসীরাও পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি চালাননি। মামলার সাত বছর ধরে শুনানির পর বিচারপতি বিজয় কুমার অগ্রবালের বিচারবিভাগীয় কমিশনের তদন্ত রিপোর্ট এ কথা জানিয়েছে। নভেম্বরে সেই বিচারবিভাগীয় তদন্তের রিপোর্ট ছত্তীসগঢ় সরকারের কাছে জমা পড়েছে।

Advertisement

বিজাপুর জেলার সারকেগুড়ায় ওই গুলিচালনার ঘটনা ঘটে ২০১২ সালের ২৮ জুন। পুলিশি গুলিচালনা নিয়ে তুমুল সমালোচনার জেরে ছত্তীসগঢ়ের তদানীন্তন বিজেপি সরকারই এক সদস্যের ওই বিচারবিভাগীয় কমিশন গঠন করেছিল।

কমিশনের রিপোর্ট জানিয়েছে, ওই দিন পুলিশ বিজাপুরের সারকেগুড়ায় বিনা প্ররোচনায় গ্রামবাসীদের উপর গুলি চালিয়েছিল নির্বিচারে। এমন কোনও প্রমাণ পাওয়া যায়নি যাতে বলা যায়, গ্রামবাসীরা সে দিন পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি চালিয়েছিল বা পুলিশের সঙ্গে গ্রামবাসীদের কোনও গুলিযুদ্ধ হয়েছিল। পুলিশের রিপোর্টে সে দিনের গুলিচালনায় ১৭ জন মাওবাদীর মৃত্যুর কথা বলা হলেও কমিশনের রিপোর্ট বলছে, তার স্বপক্ষে পুলিশ কোনও তথ্যপ্রমাণ দাখিল করতে পারেনি।

Advertisement

আরও পড়ুন- ২৪-এর ভোটের আগেই সব অনুপ্রবেশকারীকে চিহ্নিত করে তাড়িয়ে দেওয়া হবে: অমিত শাহ

আরও পড়ুন- অযোধ্যা মামলা থেকে আইনজীবী ধবনকে সরিয়ে দিল জমিয়তে​

অবসর নেওয়ার আগে গত ১৭ অক্টোবর বিচারপতি অগ্রবাল তাঁর কমিশনের রিপোর্ট জমা দেন। শনিবার রাতে সেই রিপোর্ট পেশ হয় রাজ্য মন্ত্রিসভায়। সোমবার তা বিধানসভায় পেশ করা হয়।

কমিশনের রিপোর্টে বলা হয়েছে, ‘‘পুলিশি তদন্তের গোটা প্রক্রিয়াটাই ছিল ভুলে ভরা। অনেক তথ্যপ্রমাণ বিকৃতও করা হয়েছে।’’ মাওবাদীদের কাছ থেকে প্রচুর বন্দুক ও গোলাবারুদ উদ্ধারের পুলিশি দাবিও কমিশনের রিপোর্টে উড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।

গ্রামবাসীদের হয়ে মামলা লড়ছিলেন যিনি সেই আইনজীবী ঈশা খাণ্ডেলওয়াল পরে সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘‘কমিশনের রিপোর্টের কোনও কপি এখনও আমাকে দেওয়া হয়নি। দেওয়া হয়নি মৃত গ্রামবাসীদের পরিবারগুলিকেও।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন