(বাঁ দিকে) নিহত নিট পরীক্ষার্থী দীপক গুপ্ত। (ডান দিকে) পুলিশের সঙ্গে ‘এনকাউন্টারে’ হত গরু পাচারকারী। ছবি: সংগৃহীত।
উত্তরপ্রদেশে পুলিশের সঙ্গে ‘এনকাউন্টারে’ মৃত্যু হল গরু পাচারকারীর। মৃতের নাম জুবেইর ওরফে কালিয়া। কোতওয়ালি থানা এলাকার বাসিন্দা ওই পাচারকারীর মাথার দাম এক লক্ষ টাকা ঘোষণা করেছিল গোরক্ষপুর পুলিশ। শনিবার এই ‘এনকাউন্টারের’ বিষয়টি প্রকাশ্যে এনেছে পুলিশ।
প্রসঙ্গত, গত ১৬ সেপ্টেম্বর গোরক্ষপুররে পিপরাইচ থানা এলাকার একটি গ্রামে গরু চুরি করতে ঢুকেছিল একদল পাচারকারী। গ্রামবাসীরা সতর্ক হয়ে যাওয়ায় পাচারকারীরা গাড়ি নিয়ে পালানোর চেষ্টা করে। সেই সময় নিট পরীক্ষার্থী দীপক গুপ্ত পাচারকারীদের পিছু ধাওয়া করে। তাঁকে একা পেয়ে গাড়িতে টেনে তুলে নেয় পাচারকারীরা। তার পর তাঁকে গুলি করে, গাড়িচাপা দিয়ে খুন করে গ্রাম থেকে চার কিলোমিটার দূরে রাস্তায় ফেলে দেয়। এই ঘটনায় উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পিপরাইচ থানা এলাকা। দুষ্কৃতীদের গ্রেফতারের দাবিতে জনরোষ আছড়ে পড়ে থানায়।
সেই ঘটনার পর পুলিশের একটি বিশেষ দল গঠন করে পাচারকারীদের তল্লাশি চালাচ্ছিল পুলিশ। শুক্রবার গোপন সূত্রে পুলিশ খবর পায়, নিট পরীক্ষার্থী খুনে মূল অভিযুক্ত জুবেইর রামপুর জেলায় রয়েছেন। সেই খবর পেয়েই পুলিশের দলটি জুবেইরকে ধরতে যায়। গঞ্জ থানা এলাকার কাছে নাকাতল্লাশি চালাচ্ছিল পুলিশ। সেই সময় জুবেইর বাইকে করে চাকু চওক থেকে মন্ডী যাচ্ছিলেন। তাঁর সঙ্গে আরও এক জন ছিলেন। পুলিশ তাঁদের থামতে বললে বাইকের গতি আরও বাড়িয়ে দেন। শুধু তা-ই নয়, পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয় বলে দাবি। পাল্টা গুলি চালায় পুলিশও। দু’পক্ষের গুলির লড়াইয়ে গুলিবিদ্ধ হন জুবেইর। আহত হন পুলিশের এক সাব-ইনস্পেক্টর এবং কনস্টেবল। জুবেরইকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। জুবেইরের সঙ্গীর খোঁজ চালাচ্ছে পুলিশ।
পুলিশ জানিয়েছে, জুবেইরের বিরুদ্ধে রামপুর, বলরামপুর, গোন্ডা, গোরক্ষপুর জেলায় গবাদি পরশু চুরি, পাচার, খুন, খুনের চেষ্টা-সহ ১৮টি মামলা ঝুলছে।