৪ বছরের কারাদণ্ড পুলিশ ও উকিলের

যেন রূপোলি পর্দার চিত্রনাট্য! এক ব্যক্তিকে ভুয়ো ধর্ষণের মামলায় ফাঁসানোর দায়ে এক সাব ইনস্পেক্টর ও আইনজীবীকে চার বছরের কারাদণ্ড দিল দিল্লির এক আদালত। দু’জনকে দেড় লাখ টাকা জরিমানাও করা হয়েছে।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ১১ মার্চ ২০১৬ ০৩:২৬
Share:

যেন রূপোলি পর্দার চিত্রনাট্য!

Advertisement

এক ব্যক্তিকে ভুয়ো ধর্ষণের মামলায় ফাঁসানোর দায়ে এক সাব ইনস্পেক্টর ও আইনজীবীকে চার বছরের কারাদণ্ড দিল দিল্লির এক আদালত। দু’জনকে দেড় লাখ টাকা জরিমানাও করা হয়েছে। বিচারকের বক্তব্য, ‘‘আইনের রক্ষকরাই যখন আইন ভাঙার খেলায় মেতে ওঠেন, তখন আদালতকেই কড়া হাতে ব্যবস্থা নিতে হয়।’’

গোটা বিষয়টি একটি প্রতিশোধের কাহিনী বলেই জানিয়েছে আদালত। সুশীল গুলাটি নামে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে প্রতিশোধ নেওয়ার জন্যই তাঁকে ধর্ষণের মামলায় ফাঁসানো হয়।

Advertisement

ঘটনার সূত্রপাত ২০০০ সালে। সেই বছরেই গুলাটি অভিযোগ করেন, তাঁর স্ত্রীর শ্লীলতাহানি করেছেন এক এসআই। ওই এসআইকে সাসপেন্ড করা হয়। এর পরেই প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য ছক কষে ওই অভিযুক্ত পুলিশ। তাকে সঙ্গ দেয় পুলিশের আর এক সাব ইনস্পেক্টর, এক আইজীবী এবং কোর্টের এক কর্মী। চার জনে গুলাটির বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করে। গুলাটি গ্রেফতার হয়ে দু’ মাস জেলেও কাটান। ২০১৪ সালে মারা যান গুলাটি।

ছকটি কী ছিল? চার জনে মিলে টাকা দিয়ে এক গরিব প্রতিবন্ধী মহিলাকে ‘ভাড়া’ করে। তিনি ধর্ষণের অভিযোগ করেন। পরে তদন্তে নেমে পুলিশ ওই চার জনের ষড়যন্ত্রের কথা জানতে পারে। মহিলা স্বীকার করেন, পুরো ঘটনাটিই সাজানো। টাকার বিনিময়েই গুলাটির নামে মিথ্যা অভিযোগ করেছেন তিনি।

পুলিশ গ্রেফতার করে চার ষড়যন্ত্রকারীকে। বিচার চলাকালীন তাদের মধ্যে সাসপেন্ড হওয়া সাব ইনস্পেক্টর এবং কোর্টের কর্মীটি মারা যান। এ দিন বাকি দু’জনের সাজা শুনিয়েছে আদালত।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement