জেরায় তেমন সন্তোষজনক উত্তর না মেলায় হানিপ্রীতের নার্কো পরীক্ষার পরিকল্পনা ইতিমধ্যেই করে ফেলেছে হরিয়ানা পুলিশ। আর এ বার পুলিশ তদন্তের স্বার্থে তাঁকে অজানা স্থানে নিয়ে গেল। সূত্রের খবর, জি়জ্ঞাসাবাদের জন্য ৩০০টি প্রশ্নের একটি তালিকা করা হয়েছে। যত সম্ভব দ্রুত সেই সব প্রশ্নের উত্তর পাওয়ার চেষ্টা করা হবে। এ জন্য হানিপ্রীতকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে বলেও জানিয়েছেন পঞ্চকুলার পুলিশ কমিশনার এসি চাওলা।
আরও পড়ুন: ৪০ দিন জেলে, রাম রহিমের ওজন কমেছে ৬ কেজি
পঞ্চকুলার কমিশনার ‘ইন্ডিয়া টুডে’কে জানান, হানিপ্রীত তদন্তকারীদের বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছেন। চাওলার কথায়, ‘‘এর আগে জেরায় হানিপ্রীত যে উত্তরগুলো দিয়েছেন সেগুলো হয় নেতিবাচক অথবা বিভ্রান্তিমূলক। ফলে কোনও ক্ষেত্রেই সিদ্ধান্ত নেওয়া সম্ভব হচ্ছে না।’’ তদন্তকারীদের সঙ্গে হানিপ্রীত সহযোগিতা করছেন না বলেও অভিযোগ করেছেন চাওলা। পুলিশের দাবি, তদন্তের স্বার্থে পুরোপুরি সংবাদ মাধ্যমের নজর এড়িয়ে হানিপ্রীতকে অজানা স্থানে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। পুলিশ সূত্রের খবর, যে কোনওরকম বিতর্ক এড়াতে হানিপ্রীতের সঙ্গে প্রয়োজনীয় সংখ্যক মহিলা পুলিশকর্মী রয়েছেন।
আরও পড়ুন: হানিপ্রীতকে গ্রেফতারে কেন এত সময় লাগল?
গত ৩ অক্টোবর চণ্ডীগ়ড় জাতীয় সড়কের কাছ থেকে হানিপ্রীতকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ৩৮ দিন ধরে বেপাত্তা ছিলেন তিনি। তাঁর বিরুদ্ধে হরিয়ানা পুলিশ লুকআউট নোটিস জারি করে। কোথায় হানিপ্রীত তা নিয়ে একটা ধোঁয়াশা তৈরি হয়। তাঁর গতিবিধি নিয়ে বিভিন্ন মাধ্যম থেকে নানা রকম খবর আসতে থাকে। কখনও তাঁর নেপালে পালিয়ে যাওয়ার খবর রটেছে, কখনও শোনা গিয়েছে, বিদেশে নয়, দেশেই গা ঢাকা দিয়ে আছে গুরমিত-কন্যা।