ভোট চাইতে ধর্ম, বর্ণ, জাতি, সম্প্রদায় বা ভাষার তাস আর খেলতে পারবে না রাজনৈতিক দলগুলি। সোমবার ঐতিহাসিক এক রায়ে এমনটাই জানিয়ে দিল শীর্ষ আদালত। সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস ঠাকুরের নেতৃত্বে সাত বিচারপতির এক ডিভিশন বেঞ্চ এ দিন এই রায় দেয়।
চলতি বছরে পঞ্জাব, উত্তরপ্রদেশ, উত্তরাখণ্ড, মণিপুর, গোয়ায় বিধানসভা নির্বাচন রয়েছে। তার আগে সর্বোচ্চ আদালতের এই রায় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছে রাজনীতির কারবারিরা। বিশেষত, উত্তরপ্রদেশের মতো রাজ্যে যেখানে মূলত জাতপাতের উপর ভিত্তি করেই ভোটে লড়ে রাজনৈতিক দলগুলি, সেখানে এই নির্দেশে তারা বেশ প্যাঁচে পড়ে যাবে।
আরও পড়ুন
সঙ্গী রামগোপাল, টিপু ঝড়ে গদি টলমল মুলায়মের
এ দিন সর্বোচ্চ আদালত জানায়, সংবিধানের ধর্মনিরপেক্ষতার আদর্শ বজায় রেখেই নির্বাচনে লড়াই করতে হবে। তাঁদের মতে, নির্বাচন একটি ধর্মনিরপেক্ষ প্রক্রিয়া। পাশাপাশি, জনপ্রতিনিধিকেও ধর্মনিরপেক্ষ হতে হবে। ডিভিশন বেঞ্চের মতে, ধর্মীয় বিশ্বাসের মতো ব্যক্তিগত বিষয় প্রতিটি মানুষের ইচ্ছা-অনিচ্ছার উপর নির্ভরশীল। আর তাতে হস্তক্ষেপ চলতে পারে না। যদিও এ দিনের রায়ে ভিন্ন মত পোষণ করেছেন ডিভিশন বেঞ্চের সাত সদস্যের মধ্যে তিন বিচারপতি। তাঁরা মনে করেন, এতে গণতন্ত্রে বাধার সৃষ্টি হবে।
এ দিনের রায়ের পর বিজেপিকে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি এনসিপি। এনসিপি নেতা মজিদ মেমন বলেন, “এই রায়ের পর সবচেয়ে বেকায়দায় পড়তে পারে বিজেপি। কারণ, রাম মন্দির ইস্যুকে ফের চাঙ্গা করার চেষ্টা করছে তারা।” বিজেপি-র সুব্রক্ষণ্যম স্বামীর দাবি, “বিজেপি কখনই ধর্মের ভিত্তিতে ভোট চায়নি।”