বেহাল রাস্তাঘাট নিয়ে সরব হলেন কাছাড়ের অবসরপ্রাপ্ত নাগরিকরা। ভাঙাচোরা রাস্তা কী ভাবে তাদের শারীরিক ও মানসিক যন্ত্রণা বাড়িয়ে চলেছে, নানা ভাবে বিবৃত করেন তাঁরা। শহরের রিকশার আকার-আয়তন নিয়েও প্রশ্ন ওঠে।
সরকারি পেনসনার্স অ্যাসোসিয়েশন-র শিলচর শাখার দ্বিবার্ষিক সাধারণ সভা আজ মধ্যশহরে অনুষ্ঠিত হয়। সভাপতির স্বাগত ভাষণ, সম্পাদকের প্রতিবেদন পাঠ ও আয়-ব্যয়ের হিসেব পেশের পর নতুন কমিটি গঠিত হয়। বাদল দে-কে সভাপতি পদে মনোনীত করা হয়। অভিজিৎ বিশ্বাস ফের সম্পাদক হন। সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে সদ্য-প্রাক্তন সভাপতি শশাঙ্কশেখর পাল বলেন, ‘‘একে তো বয়সের দরুন আমাদের চলাফেরা করা কষ্টকর। থাকে নানা শারীরিক যন্ত্রণা। চোখের সমস্যা প্রায় সবার। তার ওপর যদি রাস্তা ঠিক না থাকে, তা হলে বেরনো মুশকিল।’’ বেহাল রাস্তার জন্য ঘরবন্দি হয়ে অনেকে দ্রুত বার্ধক্যজনিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন বলেও উদ্বেগ প্রকাশ করেন তিনি। একই কথা বলেন আরও অনেকে। এমনকী, নিজেদের মধ্যে আলাপচারিতায়ও রাস্তাঘাট নিয়েই বেশি কথা হয়। বাদল দে-র অভিযোগ, শিলচর শহরের রিকশার আকার-আয়তন ক্রমে কমছে। এক রিকশায় দু’জন বসা বেশ কষ্টকর। আর ভাঙাচোরা রাস্তায় বৃদ্ধদের পক্ষে একা রিকশায় বসাও সম্ভব নয়। শিলচর পুরসভার বিরুদ্ধে এ ব্যাপারে উদাসীনতার অভিযোগ করেন তিনি। রিকশা ভাড়ার দরদাম নিয়েও প্রশাসন নীরব বলে বাদলবাবু ক্ষোভ প্রকাশ করেন। অবসরপ্রাপ্ত কোনও ব্যক্তির অবিবাহিত মেয়ে ১৮-উর্ধ্ব হলেও পেনসন প্রদান, অস্থায়ী চাকরিতে পেনসন চালুর সময়সীমা ২০ থেকে কমিয়ে ১০ বছর করার দাবি অনেক দিন থেকেই জানিয়ে আসছে অ্যাসোসিয়েশন। এ দিনও সে সব দাবিপ্রস্তাব গৃহীত হয়। সম্পাদকীয় প্রতিবেদনে অভিজিৎবাবু উল্লেখ করেন, কেন্দ্রীয় সরকারের চাকরি থেকে অবসরপ্রাপ্তদের ৭৫ বছর পেরোলে ১০ শতাংশ অতিরিক্ত ভাতা প্রদান করা হয়। রাজ্যেও এমন চালু করার জন্য তাঁরা কথাবার্তা বলে চলেছেন। কিন্তু সরকার এখনও সিদ্ধান্ত নেয়নি।
বিদ্যুজ্জ্যোতি পুরকায়স্থের কথায়, ‘‘এখন প্রশাসন নেই বললেই চলে। ফাইলের পিছনে ছুটতে হয় সবাইকে। অবসরপ্রাপ্তদের পক্ষে তা সম্ভব হয়ে ওঠে না।’’ সভায় বক্তব্য রাখেন জিতেন নাগ, সুব্রত ভট্টাচার্য, বাদল দে, কানাইলাল পুরকায়স্থ, অভিজিৎ এন্দ।