মাওবাদী দমনে প্রমীলা বাহিনী

ঝাড়খণ্ডের খুঁটির জঙ্গলে মাওবাদী দমন অভিযানে নামলেন সিআরপি-র মহিলা জওয়ানরা। বাহিনীর ১৩৩ নম্বর ব্যাটেলিয়নের কম্যান্ডান্ট নীরজ কুমার পাণ্ডে জানান, ‘‘এত দিন ঝাড়খণ্ডে জঙ্গিদের বিরুদ্ধে অভিযানে কোনও মহিলা জওয়ান সামিল ছিলেন না। এ বার তাঁরাও এতে যোগ দিলেন।’’

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

রাঁচী শেষ আপডেট: ১৩ নভেম্বর ২০১৬ ০৩:২২
Share:

ঝাড়খণ্ডের খুঁটির জঙ্গলে সিআরপি-র প্রমীলা বাহিনীর টহল। শনিবার। ছবি: আর্যভট্ট খান।

ঝাড়খণ্ডের খুঁটির জঙ্গলে মাওবাদী দমন অভিযানে নামলেন সিআরপি-র মহিলা জওয়ানরা। বাহিনীর ১৩৩ নম্বর ব্যাটেলিয়নের কম্যান্ডান্ট নীরজ কুমার পাণ্ডে জানান, ‘‘এত দিন ঝাড়খণ্ডে জঙ্গিদের বিরুদ্ধে অভিযানে কোনও মহিলা জওয়ান সামিল ছিলেন না। এ বার তাঁরাও এতে যোগ দিলেন।’’

Advertisement

সিআরপি সূত্রে খবর পাওয়া গিয়েছে, প্রমীলা বাহিনীতে আপাতত রয়েছেন ১৩৫ জন। বাঁকুড়ার বছর তেইশের বৈশাখী সেন আছেন ওই দলে। হাতে ইনসাস রাইফেল নিয়ে টহল দিতে দিতে তিনি বলেন, ‘‘অজমেঢ়ে আমাদের এক মাস প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। তারপর আমরা এসেছি ঝাড়খণ্ডে। মাওবাদীরা আত্মসমর্পণ করলে ভাল। না হলে ওদের উচিত শিক্ষা দেব।’’

জঙ্গলের পথে ল্যান্ডমাইন পোঁতা রয়েছে কি না, তা পরীক্ষা করে দেখছিলেন পটনার পুষ্পা কুমারী। অকুতোভয় পুষ্পা কুমারীর কথায়, ‘‘জঙ্গিদের পরোয়া করি না।’’ একই সুরে গুজরাতের পুনম পাণ্ডা বললেন, ‘‘বাড়িতে ভরপুর সংসার। ছেলে, মেয়েকে ছেড়ে থাকতে আমার মন খারাপ করে ঠিকই। কিন্তু দেশের জন্য অনেকেই তো সংসার ছেড়ে পরিবার ছেড়ে দূরে থাকে।’’

Advertisement

খুঁটির জঙ্গল পিএলআইএফ জঙ্গি সংগঠনের প্রধান ঘাঁটি। কয়েক দিন আগে সেখানে সিআরপি বাহিনীর সঙ্গে জঙ্গিদের সংঘর্ষ হয়েছিল। প্রশিক্ষণের পর প্রথমেই এমন একটি জায়গায় প্রমীলা বাহিনী মোতায়েনের সিদ্ধান্ত কি ঠিক? নীরজবাবুর জাবাব, ‘‘ওঁদের দক্ষতা নিয়ে কোনও সংশয় নেই। বড় কোনও অভিযানে প্রয়োজনে অন্যরাও ওঁদের পাশে থাকবে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন