Kedarnath Temple

ক্ষতি হতে পারে মন্দিরের, কেদারনাথের দেওয়াল সোনা দিয়ে বাঁধানোয় আপত্তি পুরোহিতদের একাংশের

যদিও পুরোহিতদের অন্য একটি অংশ অবশ্য এতে বিরোধিতার কারণ খুঁজে পাচ্ছেন না। তাঁদের দাবি, মন্দিরের ঐতিহ্য বজায় রেখেই কাজ হবে। মন্দিরের মূল কাঠামোয় হাত দেওয়া হচ্ছে না।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২২ ১৭:৫৫
Share:

কেদারনাথ মন্দির। ফাইল ছবি।

কেদারনাথ মন্দিরের দেওয়াল সোনা দিয়ে মুড়ে দেওয়ার প্রস্তাবের বিরোধিতায় পুরোহিতদের একাংশ। তাঁদের দাবি, এই কাজ করলে ক্ষতি হতে পারে ঐতিহাসিক মন্দিরের। যদিও উল্টো মতও আছে।

Advertisement

কেদারনাথ মন্দিরের ভিতরের চারটি দেওয়ালই রুপো দিয়ে বাঁধানো। সেই রুপো খুলে ফেলে সোনার পাত দিয়ে দেওয়াল মুড়ে দেওয়ার প্রস্তাব রয়েছে। তা নিয়েই শুরু হয়েছে পক্ষে-বিপক্ষে তর্কবিতর্ক।

জানা গিয়েছে, মহারাষ্ট্রের এক শিবভক্ত মন্দিরের দেওয়াল সোনা দিয়ে মুড়ে দেওয়ার প্রস্তাব দেন বদ্রীনাথ-কেদারনাথ মন্দির কমিটিকে। কমিটি সেই প্রস্তাব গ্রহণ করে। কিন্তু মন্দিরের ক্ষতি হতে পারে, এই দাবি তুলে বিরোধিতা করছেন মন্দিরের ‘তীর্থ’ পুরোহিতদের একটি অংশ। তাদের প্রতিনিধি সন্তোষ ত্রিবেদী বলেন, ‘‘সোনার পাত বসানোর ফলে মন্দিরের দেওয়ালের ক্ষতি হচ্ছে। এই কাজের জন্য বড় বড় ড্রিল মেশিন ব্যবহার করা হচ্ছে। আমরা এ ভাবে মন্দিরের শতাব্দী প্রাচীন ঐতিহ্যকে ক্ষুণ্ণ হতে দিতে পারি না।’’ যদিও দ্বিমত রয়েছে পুরোহিতদের মধ্যেই। অপর একটি অংশের পুরোহিতরা মন্দিরের মেরামতির কাজকে সমর্থনই করছেন। দেওয়ালকে সোনার পাতে মোড়ার প্রস্তাবও সমর্থন করছেন তারা। মন্দিরের প্রবীণ পুরোহিত শ্রীনিবাস পোস্তি এবং মহেশ বাগওয়াডি জানিয়েছেন, এই মন্দির সনাতন ধর্মে বিশ্বাসীদের কাছে সবচেয়ে শান্তির জায়গা। এবং হিন্দু ধর্মে সোনার একটি আলাদা জায়গা আছে। তাই দেওয়ালে সোনার পাত বসানোর কাজের সমর্থনই করছেন তাঁরা।

Advertisement

বদ্রীনাথ-কেদারনাথ মন্দির কমিটির সভাপতি অজেন্দ্র অজয় বলছেন, ‘‘সোনার পাত দিয়ে দেওয়াল মুড়ে দেওয়ার বিরোধিতার কোনও কারণ নেই। এতে মন্দিরের ঐতিহ্য নষ্ট হয়, এমন কোনও কাজ করা হচ্ছে না। যা হচ্ছে তা মন্দিরের প্রাচীন ঐতিহ্যের সঙ্গে সম্পূর্ণ ভাবে সাযুজ্যপূর্ণ। মন্দিরের মূল কাঠামোয় হাত দেওয়া হচ্ছে না।’’ পাশাপাশি তিনি জানিয়েছেন, এ ব্যাপারে রাজ্য সরকারের কাছে আবেদন করা হয়েছিল। সমস্ত দিক খতিয়ে দেখে সরকার কাজ এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার অনুমতি দিয়েছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন