এনকাউন্টারে নিহত পুলিশকর্মী খুনে অভিযুক্ত। ছবি: সংগৃহীত।
তেলঙ্গানায় কর্তব্যরত পুলিশকর্মী খুনে তিনিই মূল অভিযুক্ত। তিন দিন ধরে একটি লরির ভিতর লুকিয়েছিলেন যুবক! সোমবার সকালে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে মৃত্যু হল তাঁর।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, নিহত যুবকের নাম রিয়াজ়। শুক্রবার রাতে তেলঙ্গানার নিজ়ামাবাদে ৪২ বছরের কনস্টেবল ই প্রমোদকে খুন করে পালিয়েছিলেন তিনি। সোমবার সকালে তাঁর খোঁজ পায় পুলিশ। পুলিশের দাবি, ধরা পড়ার পর ফের আর এক পুলিশকর্মীর বন্দুক ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন তিনি। বাধ্য হয়ে পাল্টা গুলি চালায় পুলিশ। তাতেই মৃত্যু হয় যুবকের।
ডিজিপি শিবদার রেড্ডি জানিয়েছেন, তিন দিন ধরে নিজ়ামাবাদের উপকণ্ঠে অবস্থিত সরমপুর গ্রামে একটি পরিত্যক্ত লরির কেবিনে লুকিয়েছিলেন রিয়াজ়। সোমবার সকালে তাঁর খোঁজ মেলে। অভিযোগ, থানায় নিয়ে যাওয়ার সময় এক পুলিশকর্মীর হাত থেকে বন্দুক ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন তিনি। ডিজিপি-র কথায়, ‘‘যদি তিনি কোনও ভাবে গুলি চালাতে শুরু করতেন, তা হলে অনেক প্রাণহানি হতে পারত। তাই জনসাধারণের নিরাপত্তার কথা ভেবেই গুলি চালিয়েছে পুলিশ।’’
অতীতে একাধিক ছোটখাটো অপরাধে ধরা পড়েছিলেন ওই যুবক। বেশ কয়েক বার জেলও খেটেছিলেন। শুক্রবার রাতে সোনার চেন ছিনতাইয়ের অভিযোগে ফের ধরা পড়েন রিয়াজ়। কিন্তু থানায় নিয়ে যাওয়ার পথে কনস্টেবল প্রমোদকে ছুরি মেরে পালিয়ে যান তিনি। এর পরেই তাঁকে ধরতে কোমর বেঁধে নেমে পড়ে পুলিশ। নিজ়ামাবাদের পুলিশ কমিশনার পি সাই চৈতন্যকে বিশেষ দল গঠন করে অভিযুক্তকে খুঁজে বার করার নির্দেশ দেওয়া হয়। সোমবার মৃত্যু হল তাঁর।