নরেন্দ্র মোদী। —ফাইল চিত্র।
আগামী মাসের গোড়ায় মলদ্বীপ যেতে পারেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ৬ অগস্ট সে দেশের স্বাধীনতা দিবসে উপস্থিত থাকার জন্য মোদীকে আমন্ত্রণ করেছেন মলদ্বীপের প্রেসিডেন্টমহম্মদ মুইজ়্জ়ু। এই আমন্ত্রণ স্বীকার করে দ্বীপরাষ্ট্রে যাওয়ার পিছনে নয়াদিল্লির ভূরাজনৈতিক কৌশল রয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। কূটনৈতিক শিবিরের বক্তব্য, চিন তার সাম্প্রতিক ভারত-বিরোধী পদক্ষেপে বাংলাদেশ এবং পাকিস্তানকেসঙ্গে নিয়ে সার্কের একটি সমান্তরাল বা বিকল্প অক্ষ গড়ার চেষ্টায় রয়েছে। দক্ষিণ এশিয়ার রণনীতিতেভারতকে বিচ্ছিন্ন করে রাখাই তাদের উদ্দেশ্য। এই পরিস্থিতিতে মলদ্বীপে গিয়ে মোদী বার্তা দিতে চাইবেন সেটাই স্বাভাবিক।
সূত্রের খবর, প্রধানমন্ত্রী সে দেশে গেলে ভারতের কূটনৈতিক উপহার কী কী হবে, তা নিয়ে কথা চলছে। অর্থাৎ দ্বিপাক্ষিক পার্শ্ববৈঠকে নয়াদিল্লি মোদী-মুইজ়্জ়ু কোন কোন চুক্তি করতে পারেন, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ভারতের অর্থে তৈরি কিছু প্রকল্পের উদ্বোধন করতে পারেন দু’জনেএমনও জানা গিয়েছে। মলদ্বীপের প্রেসিডেন্ট মূলত চিনের ‘ঘনিষ্ঠ’ হিসেবেই পরিচিত। ফলে তিনি ক্ষমতায় আসার পরে ভারতের উদ্বেগ বেড়েছিল। তবে গত অক্টোবরে তাঁর ভারত সফরের পরে মেঘ কেটেছে। বিরোধিতার সুর বদলে গিয়েছে আগেই। বাস্তবের মাটিতে দাঁড়িয়ে ভারতের গুরুত্ব হাড়ে হাড়ে টের পেয়েছেন মুইজ়্জ়ু। চরম আর্থিক সঙ্কটে ধুঁকতে থাকা মলদ্বীপকে তিন হাজার কোটি টাকা সাহায্যের ঘোষণা করেছিল ভারত ওই সফরে। এর পরই ভারত সরকারের প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়েছিলেন প্রেসিডেন্ট। নরেন্দ্র মোদীকে তখনই আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন তাঁর দেশেযাওয়ার জন্য।
প্রতিদিন ২০০’রও বেশি এমন প্রিমিয়াম খবর
সঙ্গে আনন্দবাজার পত্রিকার ই -পেপার পড়ার সুযোগ
সময়মতো পড়ুন, ‘সেভ আর্টিকল-এ ক্লিক করে