সামনে প্রতিপক্ষ যুব নেতা রাহুল গাঁধী। তার উপর নিজের রাজ্য গুজরাতে হার্দিক পটেল, জিগ্নেশ মেবাণী, অল্পেশ ঠাকুরের মতো যুব নেতারাও বেগ দিয়েছেন। স্বামী বিবেকানন্দের জন্মদিনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী তাই যুবকদেরই মন জেতার চেষ্টা করলেন। শুধু তাই নয়, নিজেকেও সামিল করলেন যুবকদের দলে।
বিবেকানন্দের জন্মদিনটি পালিত হয় ‘যুব দিবস’ হিসেবে। সকালেই রাহুল গাঁধী টুইট করেন। প্রধানমন্ত্রী টুইটের পাশাপাশি আরও এক ধাপ এগিয়ে দিল্লি থেকেই ভিডিওর মারফত পৌঁছে যান রাজধানীর উপকন্ঠে গ্রেটার নয়ডার যুবকদের কাছে। তাঁর লক্ষ্যই ছিল, যুবকদের মন জয় করা। সরকার যখন সরাসরি রোজগার দিতে পারছে না, তখন যুবকরা কী ভাবে সরকারি সাহায্যে রোজগারের পথ খুঁজতে পারেন, তা বলা। আর তাঁদের ধৈর্য্য ধরার পরামর্শ দেওয়া। পাশাপাশি, ২০২২ সালে ‘নতুন ভারত’ গঠনে যুবকদের সামিল করার চেষ্টা করেছেন মোদী।
এর সঙ্গেই মোদী নাম না করে বিঁধেছেন রাহুল গাঁধীকে। যুবকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, সাফল্য পেতে ধৈর্য্য ধরতে হবে। কঠোর পরিশ্রম করতে হবে। শুধুমাত্র পরিবারতন্ত্রের হাত ধরে কোথাও বসে যাওয়া সম্ভব নয়। বিভাজনের রাজনীতির জন্যও বিরোধীদের দুষেছেন প্রধানমন্ত্রী। কংগ্রেস বলছে, রাহুলের ভূত যে এখনও মোদীকে তাড়া করে বেড়াচ্ছে, প্রতি পরতেই তা স্পষ্ট হচ্ছে। সে কারণে রাহুলকে টক্কর দিতে এখন প্রধানমন্ত্রীকেও নিজেকে যুবক বলে প্রতিপন্ন করতে হচ্ছে। সে জন্যই তিনি আজ বললেন, এই যুবকরাও স্বাধীনতা দেখেননি, নরেন্দ্র মোদীও দেখেননি। তাই প্রধানমন্ত্রী যুবকদের দলে। বয়সের ফারাক থাকলেও।
প্রধানমন্ত্রী যখন দিল্লি থেকে ভিডিও বার্তা করছেন, সেই সময় সভাস্থলে হাজির ছিলেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। এই নিয়ে দ্বিতীয় বার তিনি পুরনো প্রথা ভেঙ্গে নয়ডায় এলেন। প্রধানমন্ত্রী আজ ফের তারিফ করেন আদিত্যনাথের। বিশেষ করে কী ভাবে ভিন রাজ্যে নেতাদের সঙ্গেও ‘টুইটার খেলায়’ প্রতিপক্ষকে মাত দিচ্ছেন যোগী, সে কথার উল্লেখ করেন। বিজেপি নেতাদের মতে, সম্প্রতি কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী সিদ্ধারামাইয়াকে টুইটে ‘মোক্ষম’ জবাব দিয়েছেন যোগী। প্রধানমন্ত্রী তারই উল্লেখ করেছেন।