কাশ্মীরে বন্দিদের উপরে ভয়াবহ নির্যাতন চালানো হচ্ছে এবং নির্যাতনকে সুচিন্তিত দমননীতি হিসেবে কাজে লাগানো হচ্ছে বলে দু’টি মানবাধিকার সংগঠনের রিপোর্টে উঠে এল সোমবার।
৫৬০ পাতার ওই রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, উপত্যকার বন্দিদের নানা রকম ভাবে নৃশংস অত্যাচার হচ্ছে। তার মধ্যে ওয়াটার বোর্ডিং (হাত-পা-মুখ বেঁধে জলের তলায় বসিয়ে রাখা), ঘুমোতে না দেওয়া, ধর্ষণ, পায়ুসঙ্গম, বিদ্যুতের শক দেওয়া, লঙ্কাগোলা জলে মুখ চুবিয়ে দেওয়া, ছাদ থেকে ঝুলিয়ে রাখা, ছেঁকা দেওয়া— বাদ যাচ্ছে না এর কিছুই।
রিপোর্টে আরও অভিযোগ, এই সব অত্যাচার যাদের উপরে চালানো হচ্ছে, তাদের ৭০ শতাংশই সাধারণ নাগরিক। ভয়ে এঁরা অনেকেই ছাড়া পেয়েও তাঁদের নির্যাতনের ব্যাপারে অভিযোগ দায়ের করান না। ফলে বেশির ভাগ সময়েই এই সব ঘটনা সামনেও আসে না।
দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
যেমন ত্রাল এলাকার বাসিন্দা মুজফফর আহমেদ মির্জা আর মনজুর আহমেদ নাইকুর কথা আছে রিপোর্টে। দু’জনের শরীরেই ঢুকিয়ে দেওয়া হয়েছিল রড। ফুসফুস ফেটে মারা যান মির্জা। নাইকুকে যেতে হয় পাঁচ-পাঁচটি অস্ত্রোপচারের মধ্য দিয়ে।
এ দিকে শান্তিরক্ষার নামে ছররার ব্যবহার নিষিদ্ধ করার দাবিতে সোমবার বিক্ষোভ হল শ্রীনগরে। গত কয়েক বছরে এই ধরনের গুলিতে যাঁরা জখম হয়েছেন, তাঁদের বেশ কয়েক জন এতে শামিল হন। ‘পেলেট ভিক্টিমস ওয়েলফেয়ার ট্রাস্ট’-এর উদ্যোগে এই প্রতিবাদ। তাদের বক্তব্য কাশ্মীর উপত্যকায় পুলিশ ও নিরাপত্তারক্ষীরা এর ব্যবহার করতে থাকলে আরও শিশু দৃষ্টি খোয়াবে। অবিলম্বে এর ব্যবহার নিষিদ্ধ করতে হবে। এ দিনের প্রতিবাদে মায়ের সঙ্গে এসেছিল দু’বছরের হিবা নিসারও। গত বছর শোপিয়ান জেলার কাপরানে বাড়ির ভিতরেই ছররায় জখম হয়েছিল সে। ছররায় জখমদের চিকিৎসার জন্য কাশ্মীরবাসীকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়ার আবেদন রাখা হয়।