ব্যাঙ্ক প্রতারণার রিপোর্ট নিয়ে আক্রমণ কংগ্রেসের

রিজার্ভ ব্যাঙ্কের (আরবিআই) বার্ষিক রিপোর্ট কালই মোদী সরকারের অস্বস্তি আরও বাড়িয়ে বলেছে, গত অর্থবর্ষে বিভিন্ন ব্যাঙ্কে প্রতারণা-জালিয়াতির ঘটনা আরও বেড়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ৩১ অগস্ট ২০১৯ ০১:২৮
Share:

প্রতীকী ছবি।

ব্যাঙ্ক প্রতারণা নিয়ে পরোক্ষে নরেন্দ্র মোদীকেই কাঠগড়ায় দাঁড় করালেন প্রিয়ঙ্কা গাঁধী বঢরা।

Advertisement

রিজার্ভ ব্যাঙ্কের (আরবিআই) বার্ষিক রিপোর্ট কালই মোদী সরকারের অস্বস্তি আরও বাড়িয়ে বলেছে, গত অর্থবর্ষে বিভিন্ন ব্যাঙ্কে প্রতারণা-জালিয়াতির ঘটনা আরও বেড়েছে। টুইটে প্রিয়ঙ্কার প্রশ্ন, ‘‘দেশের সব থেকে বড় ব্যাঙ্ক আরবিআই বলছে, সরকারের চোখের সামনে ব্যাঙ্কের প্রতারণা বেড়ে চলেছে। ২০১৮-১৯ অর্থবর্ষে এই চুরি বেড়েছে। কিন্তু এই প্রতারণার নিশ্চয়তা কে দিচ্ছেন?’’

নোটবন্দির পর খোদ প্রধানমন্ত্রীই ডিজিটাল লেনদেনে বেশি জোর দেওয়ার কথা বলেছিলেন। যাতে তহবিল নয়ছয় রোখা যায়। তারপরেও এমন ঘটনা ঘটছে কী করে, তা নিয়ে খোদ মোদীকে চেপে ধরতে কংগ্রেসের নেতারা আজ সাংবাদিক বৈঠক করেন। দলের মুখপাত্র গৌরব বল্লভ বলেন, মোদী সরকার আসার পর এখনও পর্যন্ত ১ লক্ষ ৭৪ হাজার ৭৫৩ কোটি টাকার ব্যাঙ্ক প্রতারণা হয়েছে। ‘মোদীনমিক্স’-এর জেরে প্রথমে নোটবন্দি আর তার প্রভাবে মন্দা আসতে শুরু করেছে দেশে। অথচ সরকার সেটি মানতে চাইছে না।

Advertisement

এই পরিস্থিতিতে কংগ্রেস আজ তিনটি দাবি তুলেছে। এক, দেশে আর্থিক জরুরি অবস্থা ঘোষণা করতে হবে। দুই, ডুবন্ত অর্থনীতি ও ব্যাঙ্ক প্রতারণা নিয়ে শ্বেতপত্র জারি করতে হবে। তিন, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুসারে যাঁরা ইচ্ছাকৃত ঋণ খেলাপ করেছেন, তাঁদের নাম ঘোষণা করতে হবে। কারণ, এই আর্থিক হালের জন্য দায়ী প্রধানমন্ত্রী ও তাঁর অর্থনীতি।

বিকেলে সাংবাদিক বৈঠকে নির্মলা সীতারামন বলেন, ‘‘কংগ্রেসের থেকে এই সব অভিযোগ শুনতে চাই না। তাদের সময়েই ব্যাঙ্ক প্রতারণাকে প্রাতিষ্ঠানিক চেহারা দেওয়া হয়েছিল। আমরা বরং পলাতকদের ফেরানোর চেষ্টা করছি। কংগ্রেসের আমলে এঁদের উৎসাহ দেওয়া হয়েছিল।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন