জোট প্রশ্নে প্রিয়ঙ্কা থমকে, সরব সিন্ধিয়া

উত্তরপ্রদেশে এসপি-বিএসপি-র সঙ্গে কংগ্রেসের আসন সমঝোতা আটকে রয়েছে। ফলে প্রিয়ঙ্কা গাঁধী বঢরার পূর্ব উত্তরপ্রদেশের ময়দানে নামার দিনক্ষণও ক্রমশ পিছিয়ে যাচ্ছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১০ মার্চ ২০১৯ ০২:০৬
Share:

উত্তরপ্রদেশে এসপি-বিএসপি-র সঙ্গে কংগ্রেসের আসন সমঝোতা আটকে রয়েছে। ফলে প্রিয়ঙ্কা গাঁধী বঢরার পূর্ব উত্তরপ্রদেশের ময়দানে নামার দিনক্ষণও ক্রমশ পিছিয়ে যাচ্ছে। এরই মধ্যে কংগ্রেসকে আসন ছাড়া নিয়ে অখিলেশ যাদবের মন্তব্যের জবাব দিয়ে আজ পাল্টা চাপ তৈরি করলেন জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া। যাঁর হাতে উত্তরপ্রদেশের পশ্চিম অংশের দায়িত্ব দিয়েছেন রাহুল গাঁধী।

Advertisement

১২ মার্চ কংগ্রেসের ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠক। পূর্ব উত্তরপ্রদেশের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক হিসেবে প্রিয়ঙ্কা এই প্রথম কংগ্রেসের শীর্ষ কমিটির বৈঠকে যোগ দেবেন। ঠিক ছিল, তার আগেই তিনি ইলাহাবাদে যাবেন। কিন্তু তা হয়নি। তার আগে ঠিক হয়েছিল, এই সপ্তাহের শেষে প্রিয়ঙ্কা ফের লখনউয়ে যাবেন। শেষ বার লখনউয়ে গিয়ে তিনি কংগ্রেস কর্মীদের জানিয়েও এসেছিলেন, এক সপ্তাহের মধ্যেই ফের আসবেন। কিন্তু তা হয়নি। এর মধ্যে মাত্র এক বারই উত্তরপ্রদেশে গিয়েছেন তিনি। পুলওয়ামায় নিহত জওয়ানের বাড়িতে।

কেন এই দেরি? কংগ্রেস সূত্র বলছে, প্রিয়ঙ্কা যে উত্তরপ্রদেশে ঝড় তুলতে নামবেন, তার আগে এটা বুঝে নেওয়া দরকার ঠিক কোন জমিতে দাঁড়িয়ে সেটা করতে যাচ্ছেন তিনি। তার জন্য আগে এসপি-বিএসপির সঙ্গে আসন সমঝোতা হওয়া প্রযোজন। দলীয় সূত্রের খবর, কংগ্রেসের নেতারা ফের অখিলেশ যাদব, মায়াবতীর দলের সঙ্গে কথাবার্তা বলতে শুরু করেছেন। উত্তরপ্রদেশে এসপি-বিএসপির থেকে বেশি আসন আদায় করতে কংগ্রেস মহারাষ্ট্রের মতো রাজ্যে এসপি-কে দু’টি এবং বিএসপিকে তিনটি আসন ছেড়ে দিতেও রাজি। মুখে অবশ্য কেউই কিছু বলছেন না।

Advertisement

আরও পড়ুন: চোর ফেরত দিল! বয়ান বদলে প্রশ্ন

কংগ্রেসের সঙ্গে জোট নিয়ে প্রশ্ন করায় অখিলেশ সম্প্রতি মুচকি হেসে বলেন, ‘‘কংগ্রেস তো মহাজোটে রয়েছে। আমরা ওদের জন্য অমেঠী, রায়বরেলী ছেড়েছি।’’ আজ তার জবাবে কংগ্রেসের পশ্চিম উত্তরপ্রদেশের ভারপ্রাপ্ত নেতা জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া বলেন, ‘‘আমরা নিজের শক্তিতে উত্তরপ্রদেশে লড়ব। উনি (অখিলেশ) চাইলে ওঁদের জন্য দু’তিনটি আসন কংগ্রেস ছাড়তে পারে।’’ কংগ্রেস কিছু আসনে প্রার্থী ঘোষণা করেছে। তার মধ্যে রয়েছে মুলায়ম সিংহ যাদবের ভাইপো, সাংসদ ধর্মেন্দ্র যাদবের বদায়ুঁ আসনটিও।

মুখে সিন্ধিয়া আস্ফালন করলেও কংগ্রেসের নেতারা জানেন, সব আসনে লড়ার মতো শক্তি তাঁদের নেই। সেটা বুঝেই শিবপাল যাদবের দলের মতো কিছু আঞ্চলিক দল কংগ্রেসের সঙ্গে আসন সমঝোতায় আগ্রহী। কিন্তু এখনই সে রাস্তায় হাঁটলে এসপি-বিএসপি-র সঙ্গে জোটের দরজায় তালা ঝুলে যাবে বুঝেই তাড়াহুড়ো করতে চাইছে না কংগ্রেস। সিন্ধিয়া বলেন, ‘‘লক্ষ্যটা এক হলেও এসপি-বিএসপি এখনও পর্যন্ত ভিন্ন রাস্তা ধরে সেখানে পৌঁছতে চাইছে। কিন্তু সম-মনোভাবাপন্ন দলগুলিকে সমান ভাবে ভাবতে হবে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন