বিক্ষোভকারীরা জ্বালিয়ে দিয়েছেন একটি গাড়ি। —ফাইল চিত্র।
ভূমিপুত্রদের তীব্র বিক্ষোভের জেরে রবিবারেও উত্তপ্ত হয়ে রইল অরুণাচলপ্রদেশ। অ-অরুণাচলিদের স্থায়ী বসবাসের শংসাপত্র (পার্মানেন্ট রেসিডেন্সিয়াল সার্টিফিকেট বা পিআরসি) দেওয়া নিয়ে বহু দিন ধরেই ক্ষোভ দানা বাঁধছিল ভূমিপুত্রদের মধ্যে। আন্দোলনও চলছিল। এর মধ্যে পুলিশের গুলিতে এক আন্দোলনকারীর মৃত্যু সেই বিক্ষোভের আগুনে ঘৃতাহুতির কাজ করে।
শনিবার থেকে কার্ফু জারি ছিল। কিন্তু রবিবার সেই কার্ফু উপেক্ষা করেই উত্তেজিত জনতা অরুণাচলপ্রদেশের উপমুখ্যমন্ত্রীর অফিসে ঢুকে ভাঙচুর চালায়, সরকারি সম্পত্তি নষ্ট করে, বাইরে দাঁড়িয়ে থাকা একটি গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়। এমনকি উপমুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতেও আগুন ধরিয়ে দেয় বলে অভিযোগ। মুখ্যমন্ত্রী পেমা খান্ডুর আবাসনের বাইরেও উত্তেজিত জনতা বিক্ষোভ দেখায়। পুলিশ তাদের ছত্রভঙ্গ করে।
পিআরসি চালু করার বিরুদ্ধে বৃহস্পতিবার থেকে ভূমিপুত্র জনজাতিদের ১৮টি সংগঠনের যৌথ মঞ্চ ৪৮ ঘণ্টার বন্ধ ডেকেছিল। কিন্তু তার পরেও সরকার এই বিষয়ে বিল পাশ করানোর মনোভাব নিয়ে অনড় থাকে। সরকারের এই অনমনীয় মনোভাবের জেরে শুক্রবার রাত থেকেই মারমুখী হয়ে ওঠেন আন্দোলনকারীরা। বিধানসভা ও সচিবালয় ঘেরাও করা হয়। পাশাপাশি চলে ভাঙচুর। প্রথম অরুণাচল ফিল্মোৎসবের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান বানচাল হয়ে যায়। গভীর রাত পর্যন্ত মুখ্যমন্ত্রী-সহ মন্ত্রী, বিধায়করা ঘেরাওয়ে আটকে পড়েন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ প্রথমে লাঠি, কাঁদানে গ্যাস, জলকামান ব্যবহার করে। তাতেও পরিস্থিতি আয়ত্তে না আসায় শূন্যে গুলি ছোড়া হয়। তখনই পুলিশের গুলিতে এক বিক্ষোভকারী জখম হন। পরে তাঁর মৃত্যু হয়। বিক্ষোভের জেরে এখনও পর্যন্ত ৩৫ জন সাধারণ মানুষ এবং ২৪ পুলিশ কর্মী জখম হয়েছেন।
আরও পড়ুন: পাকিস্তান একটা পরমাণু বোমা ফেললে ভারত ২০টা ফেলে ধ্বংস করবে: পারভেজ মুশারফ
’ & ; '
ওই রাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কুমার ওয়াই বলেন, ‘‘পরিস্থিতি খুবই উত্তপ্ত এবং নিয়ন্ত্রণের বাইরে। রাজ্য সরকার পরিস্থিতি দ্রুত নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য সব রকম চেষ্টা করছে।’’