পিএফ সহজ পাঠ

১ এপ্রিল, ২০১৬-র পর থেকে জমা টাকার ৬০ শতাংশের উপর সুদ বাবদ যে আয় হবে, তার উপরেই শুধু মাত্র কর বসবে। জমা করা টাকার উপর নয়।

Advertisement
শেষ আপডেট: ০২ মার্চ ২০১৬ ০৩:২৫
Share:

বিতর্ক কোথায়?

Advertisement

বেসরকারি ও রাষ্ট্রায়ত্ত কারখানার কর্মচারীদের এমপ্লয়িজ প্রভিডেন্ট ফান্ড (ইপিএফ)-কে করের আওতায় আনার ঘোষণা

Advertisement

মূল বক্তব্য কী?

ধরা যাক, আপনার অবসরের সময় ইপিএফ-এ সঞ্চিত টাকার মোট পরিমাণ ১৫ লক্ষ। এর মধ্যে ৫ লক্ষ টাকা জমেছে ৩১ মার্চ, ২০১৬ পর্যন্ত। বাকিটা জমেছে ১ এপ্রিল, ২০১৬-র পর থেকে অবসর পর্যন্ত।

প্রথম ধাপের ৫ লক্ষ টাকা বা তার উপর জমা সুদ করমুক্তই থাকছে।

পরের ধাপে জমানো ১০ লক্ষ টাকার ৪০% বা ৪ লক্ষ টাকা ইপিএফ থেকে তুলতে গেলে কর দিতে হবে না। বাকি ৬০%, অর্থাৎ ৬ লক্ষ টাকা তুলতে গেলে কর দিতে হবে। কারণ তা আয় হিসেবে ধরা হবে।

তবে ওই ৬ লক্ষ টাকায় পেনশন প্রকল্প বা অ্যানুইটি কিনলে করে রেহাই মিলবে।

আবার পেনশন প্রকল্প থেকে যে টাকা পাওয়া যায়, তা কিন্তু করযোগ্য।

যাঁর টাকা, তাঁর মৃত্যুর পর ইপিএফ অ্যাকাউন্ট বা পেনশন প্রকল্পের টাকা উত্তরাধিকারীর হাতে আসার সময় কর দিতে হবে না।

মাসিক মূল বেতন ১৫ হাজার টাকা বা তার কম হলে প্রভিডেন্ট ফান্ড পুরোপুরি করমুক্ত।

এত দিন কী ছিল?

ইপিএফ-এ টাকা জমা, টাকা তোলা— কোনও ক্ষেত্রেই কর দিতে হতো না।

বিতর্কের পর সরকার কী বদল আনতে পারে?

১ এপ্রিল, ২০১৬-র পর থেকে জমা টাকার ৬০ শতাংশের উপর সুদ বাবদ যে আয় হবে, তার উপরেই শুধু মাত্র কর বসবে। জমা করা টাকার উপর নয়।

এ ক্ষেত্রে ডাকঘর বা ব্যাঙ্কে পিপিএফ-এর কী হবে?

সে ক্ষেত্রে কোনও স্তরেই কর বসছে না

সরকারের উদ্দেশ্য কী?

আরও মানুষকে পেনশন ফান্ডের আওতায় আনা।

ইপিএফ-এ জমা টাকা অবসরের পর খরচ না করে মানুষ পেনশন প্রকল্পের দিকে ঝুঁকবেন।

জাতীয় পেনশন প্রকল্প (এনপিএস) থেকে টাকা তোলায় সময় কর দিতে হয়। ইপিএফে তা হতো না বলে এনপিএসে সাড়া মিলছিল না।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন