বিতর্ক কোথায়?
• বেসরকারি ও রাষ্ট্রায়ত্ত কারখানার কর্মচারীদের এমপ্লয়িজ প্রভিডেন্ট ফান্ড (ইপিএফ)-কে করের আওতায় আনার ঘোষণা
মূল বক্তব্য কী?
• ধরা যাক, আপনার অবসরের সময় ইপিএফ-এ সঞ্চিত টাকার মোট পরিমাণ ১৫ লক্ষ। এর মধ্যে ৫ লক্ষ টাকা জমেছে ৩১ মার্চ, ২০১৬ পর্যন্ত। বাকিটা জমেছে ১ এপ্রিল, ২০১৬-র পর থেকে অবসর পর্যন্ত।
• প্রথম ধাপের ৫ লক্ষ টাকা বা তার উপর জমা সুদ করমুক্তই থাকছে।
• পরের ধাপে জমানো ১০ লক্ষ টাকার ৪০% বা ৪ লক্ষ টাকা ইপিএফ থেকে তুলতে গেলে কর দিতে হবে না। বাকি ৬০%, অর্থাৎ ৬ লক্ষ টাকা তুলতে গেলে কর দিতে হবে। কারণ তা আয় হিসেবে ধরা হবে।
• তবে ওই ৬ লক্ষ টাকায় পেনশন প্রকল্প বা অ্যানুইটি কিনলে করে রেহাই মিলবে।
• আবার পেনশন প্রকল্প থেকে যে টাকা পাওয়া যায়, তা কিন্তু করযোগ্য।
• যাঁর টাকা, তাঁর মৃত্যুর পর ইপিএফ অ্যাকাউন্ট বা পেনশন প্রকল্পের টাকা উত্তরাধিকারীর হাতে আসার সময় কর দিতে হবে না।
• মাসিক মূল বেতন ১৫ হাজার টাকা বা তার কম হলে প্রভিডেন্ট ফান্ড পুরোপুরি করমুক্ত।
এত দিন কী ছিল?
• ইপিএফ-এ টাকা জমা, টাকা তোলা— কোনও ক্ষেত্রেই কর দিতে হতো না।
বিতর্কের পর সরকার কী বদল আনতে পারে?
• ১ এপ্রিল, ২০১৬-র পর থেকে জমা টাকার ৬০ শতাংশের উপর সুদ বাবদ যে আয় হবে, তার উপরেই শুধু মাত্র কর বসবে। জমা করা টাকার উপর নয়।
এ ক্ষেত্রে ডাকঘর বা ব্যাঙ্কে পিপিএফ-এর কী হবে?
• সে ক্ষেত্রে কোনও স্তরেই কর বসছে না
সরকারের উদ্দেশ্য কী?
• আরও মানুষকে পেনশন ফান্ডের আওতায় আনা।
• ইপিএফ-এ জমা টাকা অবসরের পর খরচ না করে মানুষ পেনশন প্রকল্পের দিকে ঝুঁকবেন।
• জাতীয় পেনশন প্রকল্প (এনপিএস) থেকে টাকা তোলায় সময় কর দিতে হয়। ইপিএফে তা হতো না বলে এনপিএসে সাড়া মিলছিল না।