প্রতীকী ছবি।
সামনেই লোকসভা ভোট। তার আগে গুজবের আগুনে ঘি পড়েছে পুলওয়ামায় জঙ্গি হামলায়। ছড়াচ্ছে ভুয়ো ভিডিয়ো ও বিদ্বেষের বার্তা। খোদ ফেসবুক ইন্ডিয়ার দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্তা ত্রুশার বারোটও মানছেন ব্যাপারটা উদ্বেগজনক পর্যায়ে পৌঁছে গিয়েছে। একে রোখা যাচ্ছে না।
ভুয়ো খবর ছড়ানো নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়া ও বার্তাবাহী অ্যাপগুলির দিকে অভিযোগের আঙুল উঠছে অনেক দিন ধরেই। সেই চাপে কিছু কিছু পদক্ষেপও করেছে সংস্থাগুলি। কিন্তু তা যে যথেষ্ট নয়, ফের তার প্রমাণ মিলল পুলওয়ামার ঘটনায়।
সম্প্রতি এক টুইটার পোস্টে ত্রুশার লিখেছেন, ভুয়ো খবরের এমন বাড়বাড়ন্ত কখনও দেখেননি। তিনি জানিয়েছেন, পুলওয়ামার হামলার পরে যে সব ছবি, ভিডিয়ো আর খবর সোশ্যাল মিডিয়ায় বহু মানুষ শেয়ার করছেন, তার বেশির ভাগই ভুয়ো। সোশ্যাল মিডিয়া সংস্থাগুলি জানাচ্ছে, হামলার পরপরই সেখানকার সিসিটিভি ফুটেজ বলে বেশ কয়েকটি দৃশ্য খুব ভাইরাল হয়। পরে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, আদৌ পুলওয়ামার ছবিই নয় ওগুলি। ইরাক আর সিরিয়ার যুদ্ধের বহু পুরনো ফুটেজ। পুলওয়ামা হামলার পরে ভুয়ো খবর ছড়ানো রুখতে সিআরপি টুইটারে একটি বিবৃতি সতর্ক করে নেটিজেনদের।
ভোটের মুখে রাজনৈতিক তরজা যত বাড়ছে, তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে রাজনৈতিক নেতা-নেত্রীদের প্রতি অশোভন আক্রমণ, মিথ্যার প্রচার আর চরিত্র হননের চেষ্টাও। পুলওয়ামা হামলায় জড়িত আদিল দারের সঙ্গে কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গাঁধীর একটি ছবি ভাইরাল হয় সম্প্রতি। পরে জানা যায় ছবিটি ভুয়ো। কারচুপি করে জোড়া। একই ভাবে, সদ্য রাজনীতিতে পা দেওয়া, প্রিয়ঙ্কা গাঁধী বঢরাকে নিয়েও ভুয়ো ছবি ছড়ায় সোশ্যাল মিডিয়ায়। একটি সাংবাদিক বৈঠকে প্রিয়ঙ্কার একটি হাসিমুখের ছবির তলায় লেখা হয়, পুলওয়ামা কাণ্ডের পর এ নিয়ে সাংবাদিক বৈঠকে হাসছেন কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়ঙ্কা। পরে ফেসবুকও জানায়, ওই হাসিমুখের ছবিটিও ভুয়ো। সে দিনের উপস্থিত সাংবাদিকেরাও জানাচ্ছেন, বাস্তবে প্রিয়ঙ্কা সে দিন থমথমে মুখে সাংবাদিক বৈঠক বাতিল করেছিলেন, নিহত জওয়ানদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে নীরবতা পালনের পর।