—ফাইল চিত্র।
পুলওয়ামা কাণ্ডের মূল চক্রী রশিদ গাজ়ি জীবিত না মৃত তা নিয়ে ধন্দ ছড়িয়েছে।
আজ সকালে দাবি করা হয়েছিল পুলওয়ামায় সংঘর্ষে নিহত হয়েছে সিআরপি-র উপরে হামলার মূল মাথা রশিদ গাজ়ি। কিন্তু পরে ওই দাবির সত্যতা নিয়ে সংশয় তৈরি হয় বাহিনীর মধ্যেই। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক সূত্রে দাবি করা হয়েছে, আজ যে মারা গিয়েছে সেই কামরান হামলার অন্যতম চক্রান্তকারী হলেও, মূল মাথা নয়। গোটা পরিকল্পনাটি যার মস্তিষ্কপ্রসূত, সেই রশিদ এখনও বেঁচে রয়েছে। আরও দাবি করা হয়, রশিদের খোঁজে একাধিক স্থানে তল্লাশি শুরু হয়েছে। গোয়েন্দাদের একাংশের মতে, সম্ভবত দক্ষিণ কাশ্মীরের ত্রাল এলাকার জঙ্গলে লুকিয়ে রয়েছে সে। আজ সন্ধ্যা থেকেই ওই এলাকাকে ঘিরে তল্লাশি শুরু হয়েছে। পরে আবার একটি সূত্রে দাবি করা হয়, পুলওয়ামায় সংঘর্ষে নিহত তৃতীয় জঙ্গি রশিদ গাজ়ি হলেও হতে পারে।
পুলওয়ামায় সিআরপিএফের কনভয়ে জঙ্গি হামলার পরেই গোটা পরিকল্পনাটির মূল মাথা হিসেবে উঠে আসে রশিদ গাজ়ির নাম। বলা হয়, আত্মঘাতী জঙ্গি আদিল দারকে গাড়িবোমার ব্যবহার শিখিয়েছিল রশিদই। জইশ-ই-মহম্মদের ওই জঙ্গির আফগানিস্তানেও লড়াই করার অতীত ইতিহাস রয়েছে। সেখানেই সে গাড়িবোমার ব্যবহার শেখে।
অন্য দিকে, কনভয়ে হামলার পরে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে আজ কাশ্মীরে যান সিআরপিএফের ডিজি আর আর ভটনাগর। আগামী দিনে উপদ্রুত এলাকা দিয়ে কনভয় যাওয়ার প্রশ্নে যে নির্দিষ্ট নিয়মাবলী বা স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিয়র (এসওপি) রয়েছে তাতে বেশ কিছু পরিবর্তন আনার ইঙ্গিত দিয়েছেন বাহিনী প্রধান। কনভয়ের যাত্রার সময়ে পরিবর্তন করা ছাড়াও, বিশ্রামের জন্য দাঁড়ানোর জায়গাতেও পরিবর্তন করা হয়েছে। বদলানো হয়েছে অন্য নিয়ম। যেমন কনভয় চলাকালীন পাশের রাস্তায় বেসরকারি গাড়ির চলাচল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্র। এ ছাড়া কনভয়ের উপরে নজর রাখবে ড্রোন। সূত্রের দাবি, ওই হামলার পরে দু’টি কনভয় জম্মু থেকে শ্রীনগরের মধ্যে যাতায়াত করেছে। সেখানে ওই নিয়ম প্রয়োগ করা হয়েছে।