ফেসবুক লাইভ করে আত্মহত্যা করেন দুর্লভ সাহা। —নিজস্ব চিত্র।
দাম্পত্য কলহের জেরে থানা-পুলিশ হয়েছে। তার পর বিচ্ছেদের পথে হেঁটেছেন দুই যুবক-যুবতী। কিন্তু তার পরেও অশান্তি থামেনি। অভিযোগ, এর জেরেই নিজেকে শেষ করে দিয়েছেন যুবক। পরিবারের দাবি, প্রাক্তন স্ত্রীর কারণেই আত্মহত্যা করেছেন দুর্লভ সাহা। শনিবার এ নিয়ে শোরগোল মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুর থানার কালীতলা মোবারকপুর এলাকায়।
স্থানীয় সূত্রে খবর, দুর্লভ একটি দোকানে কাজ করতেন। কয়েক বছর আগে তাঁর বিয়ে হয় মৌসুমি সাহা নামে এক যুবতীর সঙ্গে। কিন্তু দাম্পত্য সুখের হয়নি তাঁদের। প্রায়শই ঝগড়া হত। স্বামী এবং শ্বশুরবাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে হয়রানির অভিযোগ করে থানা-পুলিশ পর্যন্ত করেন মৌসুমি। সালিশি থেকে থানা-পুলিশ হয়ে মিটমাট হয়েছিল। কিন্তু তা বেশি দিন হয়নি। শেষমেশ বিবাহবিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নেন দুর্লভ এবং মৌসুমি।
যুবকের পরিবারের দাবি, বিচ্ছেদ হয়ে যাওয়ার পরে খোরপোশ ইত্যাদি নিয়ে ফের অশান্তি হয়েছিল দু’জনের। দুই কন্যাসন্তানের নামে ব্যাঙ্কে কিছু থোক টাকা জমা রাখতে চেয়েছিলেন দুর্লভ। কিন্তু মৌসুমি জানান, পুরো টাকা তাঁর নামে রাখতে হবে। ওই নিয়ে আবার অশান্তি হয় তাঁদের। তার পরেই শুক্রবার রাতে চরম সিদ্ধান্ত নেন দুর্লভ।
জানা গিয়েছে, শুক্রবার ফেসবুক লাইভে গিয়ে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেন দুর্লভ। শনিবার সকালে তাঁর দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে পুলিশ। মৃতের কাকা অরণ্য সাহা বলেন, ‘‘বিচ্ছেদের পরে মৌসুমি অন্যত্র বাড়ি ভাড়া করে থাকে। দুটো বাচ্চা ওদের। ভাইপো চেয়েছিল দুই সন্তানের নামে কিছু টাকা ডিপোজিট করতে। কিন্তু বৌমা চায় ওই টাকা তাঁর নামে করতে। মানসিক অশান্তিতে নিজের প্রাণ নিল ছেলেটা।’’