হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিএলও তনুশ্রী সিংহ। —নিজস্ব চিত্র।
একই অভিযোগ— অতিরিক্ত কাজের চাপ। আবার অসুস্থ হলেন এক বুথ স্তরের আধিকারিক (বিএলও)। ঘটনাস্থল সেই হাওড়া। ফের এসআইআর নিয়ে নির্বাচন কমিশনের কর্মপন্থাকে দুষল রাজ্যের শাসকদল।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিএলওর নাম তনুশ্রী সিংহ। পেশায় স্কুলশিক্ষিকা তনুশ্রী শিক্ষকতা করেন ডোমজুড় বন্দর বাগপাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। হাওড়ার জগৎবল্লভপুর বিধানসভা কেন্দ্র এলাকার ২৪৩ পার্টের বিএলও হিসাবে ভোটার তালিকার বিশেষ নিবিড় সংশোধনের কাজ করছিলেন তিনি।
স্থানীয় সূত্রে খবর, শনিবার আচমকা মাথা ঘুরে পড়ে যান তনুশ্রী। তাঁর শারীরিক পরিস্থিতি দেখে ডোমজুড় গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। ডোমজুড়ের ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক ঋদ্ধি চক্রবর্তী জানিয়েছেন, আপাতত চিকিৎসকদের পর্যবেক্ষণে রাখা হচ্ছে তনুশ্রীকে। শারীরিক পরিস্থিতি স্থিতিশীল। তবে বেশ কিছু শারীরিক পরীক্ষা করানো হয়েছে। আরও কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা বাকি।
অসুস্থ বিএলওকে হাসপাতালে দেখতে যান জগৎবল্লভপুর ব্লকের তৃণমূল সভাপতি সুবীর চট্টোপাধ্যায়। তাঁর অভিযোগ, কাজের চাপে একের পর এক আধিকারিক অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। কেউ কেউ মারা যাচ্ছেন। কিন্তু এ নিয়ে কোনও হেলদোল নেই নির্বাচন কমিশন এবং কেন্দ্রীয় সরকারের। তাঁর কথায়, ‘‘কাজের চাপে তনুশ্রী সিংহ নামে এক বিএলও অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। অল্প সময়ের মধ্যে এত কাজ করবেন কী ভাবে?’’ তবে বিএলওর অসুস্থতা নিয়ে বিশেষ কিছু বলতে রাজি নয় তাঁর পরিবার। বিকেলে অসুস্থ বিএলওকে দেখতে যান জগৎবল্লভপুরের বিধায়ক সীতানাথ ঘোষ। তিনি তনুশ্রীর সঙ্গে কথাও বলেন। তৃণমূল বিধায়কের দাবি, বিএলওদের এই পরিস্থিতির জন্য বিজেপি-ই দায়ী।
দিন কয়েক আগেই ডোমজুড় বিধানসভার ৬৩ নম্বর বুথের বিএলও অনির্বাণ বন্দ্যোপাধ্যায় অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরিবারের দাবি, এসআইআরের কাজের চাপেই এই অবস্থা হয় তাঁর। প্রথমে কলকাতার একটি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছিল অনির্বাণকে। কিন্তি চিকিৎসার ব্যয়ভার বহন করতে পারছিল না পরিবার। অনির্বাণের স্ত্রী মৌমিতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিষয়টি হাওড়ার জেলাশাসককে জানান। তার পর শুক্রবার হাওড়ার একটি হাসপাতালে চিকিৎসার ব্যবস্থা হয়েছে ওই বিএলওর।