কাশ্মীরের বারুদগন্ধে ফিরল আতঙ্ক

‘রাস্তায় পড়ে সহকর্মীদের ছিন্নভিন্ন দেহ’

সেনাবাহিনীর যাঁরা ছুটিতে যান কিংবা ছুটি থেকে কাজে ফেরেন, তাঁদের নিয়ে আসতে বা জম্মুতে পৌঁছে দিতে যেতে হয়।

Advertisement

উত্তম বিশ্বাস, প্রত্যক্ষদর্শী সিআরপি জওয়ান

শেষ আপডেট: ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ০০:৩৬
Share:

পুলওয়ামায় বিস্ফোরণের পরে।

আট মাস ধরে কাশ্মীরের জাকুরায় রয়েছি। কিন্তু এত বড় ঘটনার সামনে কখনও পড়তে হয়নি।

Advertisement

সেনাবাহিনীর যাঁরা ছুটিতে যান কিংবা ছুটি থেকে কাজে ফেরেন, তাঁদের নিয়ে আসতে বা জম্মুতে পৌঁছে দিতে যেতে হয়। সেই রকম ৪ ফেব্রুয়ারি জাকুরা থেকে প্রায় ২৮৫ কিমি দূরে জম্মু গিয়েছিলাম। পরের দিন ৫ তারিখেই ওখান থেকে রওনা দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ৪ তারিখ রাত থেকেই প্রচণ্ড বরফ পড়ায় জম্মুতে আটকে গিয়েছিলাম।

বুধবার রাত ৩টে নাগাদ সেনার ৭৮টি সহ মোট ৮০টি গাড়িতে আড়াই হাজারের বেশি জওয়ান এক সঙ্গে জম্মু থেকে রওনা দিয়েছিলাম। বৃহস্পতিবার বিকেলে ঘড়িতে যখন তিনটে দশ, তখন অবন্তিপোরায় কনভয়ের উপর জঙ্গিরা বিস্ফোরণ ঘটায়। একটি গাড়ি সম্পূর্ণ নষ্ট হয়ে গিয়েছে। আমি অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে গিয়েছি। কনভয়ের ৪ নম্বর গাড়ি সম্পূর্ণ ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। আমি ছিলাম ৭ নম্বর গাড়িতে। প্রচণ্ড আওয়াজ আর কম্পনে সব কেঁপে ওঠে। গাড়ি থেকে নেমেই দেখি, রাস্তায় পড়ে ছিন্নভিন্ন সহকর্মীদের দেহ। গাড়িতে আগুন জ্বলছে। কিছু ক্ষণ পরেই বাড়ি থেকে স্ত্রী ফোন করেছিল। আমি ভাল ও নিরাপদে আছি জানিয়ে তখন ফোন কেটে দিয়েছিলাম। তার পরে উদ্ধার কাজ চালিয়ে ভোর তিনটের সময় জাকুরায় ফিরেছি।

Advertisement

এই ক্যাম্পে ফিরেই বাড়িতে চিন্তিত পরিবারের লোকজনের সঙ্গে ফোনে কথা বলেছি। এখন নিরাপদেই আছি। কিন্তু কালকের ঘটনা ও ওই দৃশ্য ভুলতে পারছি না।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement