অভিযুক্ত নেতা হরমিত পাঠানমাজরা। — ফাইল চিত্র।
ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছিল। উল্টে পুলিশকেই লক্ষ্য করে গুলি ছুড়ে পালালেন পঞ্জাবের আম আদমি পার্টি (আপ)-র বিধায়ক! অভিযুক্ত নেতার নাম হরমিত পাঠানমাজরা। মঙ্গলবার সকালে থানায় নিয়ে যাওয়ার সময়েই পুলিশের চোখে ধুলো দিয়ে পালিয়েছেন তিনি।
পটিয়ালার সনৌরের বিধায়ক হরমিতের বিরুদ্ধে এক মহিলাকে ধর্ষণের অভিযোগ রয়েছে। অভিযোগের ভিত্তিতে মঙ্গলবার সকালেই কার্নাল থেকে তাঁকে গ্রেফতার করে স্থানীয় থানায় নিয়ে যাচ্ছিল পুলিশ। সে সময় হরমিত ও তাঁর সহযোগীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছুড়তে শুরু করেন। অভিযোগ, এক পুলিশকর্মী তাঁদের থামানোর চেষ্টা করলে হরমিতেরা তাঁকে ধাক্কা মেরে ফেলে দিয়ে তাঁর উপর দিয়েই গাড়ি চালিয়ে চলে যান। দু’টি গাড়িতে করে এলাকা ছেড়ে পালান হরমিত ও তাঁর সহযোগীরা। পুলিশ পরে একটি গাড়িকে আটক করলেও বিধায়ক সেই গাড়িতে ছিলেন না। এখনও তাঁর খোঁজ চলছে। আটক করা গাড়িটি থেকে তিনটি আগ্নেয়াস্ত্র বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।
হরমিতের বিরুদ্ধে ধর্ষণ, প্রতারণা এবং হুমকি দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। নির্যাতিতা মহিলার দাবি, মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিয়ে ২০১৩ সালে তাঁর সঙ্গে সম্পর্ক শুরু করেন বিধায়ক। হরমিত তাঁকে বলেছিলেন যে তাঁর স্ত্রীর সঙ্গে তাঁর বিচ্ছেদ হয়ে গিয়েছে। ২০২১ সালে মহিলাকে বিয়েও করেন হরমিত। ৪৫ বছর বয়সি ওই অভিযোগকারিণীর আগেই বিবাহবিচ্ছেদ হয়ে গিয়েছিল। ওই মহিলার এক মেয়ে রয়েছেন, তিনি বিদেশে থাকেন। ২০২১ সালে লুধিয়ানার একটি গুরুদ্বারে বিয়ে হয় হরমিত ও ওই মহিলার। কিন্তু ২০২২ সালে যখন হরমিত সনৌর থেকে নির্বাচনে দাঁড়ান, তখন দেখা যায় হলফনামায় হরমিতের স্ত্রীর নামের জায়গায় তাঁর প্রথম স্ত্রীর নাম রয়েছে! বিধায়ককে এ বিষয়ে প্রশ্ন করেও কোনও সদুত্তর মেলেনি বলে অভিযোগ। হরমিত তাঁকে বার বার বোঝাতে থাকেন যে তিনি শীঘ্রই তাঁর প্রথম স্ত্রীর সঙ্গে বিচ্ছেদ করবেন। হুমকিও দেওয়া হয় বলে দাবি। এ বার সেই বিধায়ক খোদ পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছুড়ে পালালেন।