ফাঁসিই কি সমাধান, রইল প্রশ্ন

নতুন আইনকে স্বাগত জানিয়েও দিল্লির গণধর্ষিতা জ্যোতি সিংহের মা আশা এ দিন বলেন, ১২ বা ১৬ বছর বয়সের উপরের কোনও মেয়েকে ধর্ষণ করলে তাদের শাস্তি কম হবে কেন?

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ২৩ এপ্রিল ২০১৮ ০৩:৫২
Share:

১২ বছরের কমবয়সি মেয়েদের ধর্ষণের ক্ষেত্রে মৃত্যুদণ্ডের অধ্যাদেশে সই করলেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ। তবে নতুন আইনে ফাঁসির সাজা চালু করলেই ধর্ষণ ঠেকানো যাবে কি না, তা নিয়ে নানা জনের নানা মত রয়েছে।

Advertisement

নতুন আইনকে স্বাগত জানিয়েও দিল্লির গণধর্ষিতা জ্যোতি সিংহের মা আশা এ দিন বলেন, ১২ বা ১৬ বছর বয়সের উপরের কোনও মেয়েকে ধর্ষণ করলে তাদের শাস্তি কম হবে কেন? শুধুমাত্র ১২ বছরের কম বয়সি মেয়েদের ধর্ষণের ক্ষেত্রে মৃত্যুদণ্ড নিয়ে আপত্তি আছে কমল হাসনের। তাঁর প্রশ্ন, ‘‘১৪-১৬ বছরের মেয়েরা কি বাচ্চা নয়?’’ সাহিত্যিক তসলিমা নাসরিনের বক্তব্য, ‘‘পশ্চিমবঙ্গে ধর্ষককে ফাঁসিতে ঝোলানো হয়। তা বলে কি রাজ্যে ধর্ষণের সংখ্যা কমেছে?’’ তিনি মনে করেন, আগে ছেলেদের যথোপযুক্ত শিক্ষায় শিক্ষিত করে তুলতে হবে। শুধুমাত্র কড়া আইন এনেই ধর্ষণ কমানো যাবে না বলে মনে করছেন লোকসভার স্পিকার সুমিত্রা মহাজনও। তিনি বলেন, ‘‘ঘটনা ঘটলে আমরা কড়া আইন নিয়ে কথা বলি। কিন্তু কেন এই ধরনের ঘটনা বাড়ছে, তা আমাদের ভাবতে হবে।’’ রবিনা টন্ডন অভিনীত ‘মাতৃ’ ছবিতে দেখা গিয়েছিল এক মা ও মেয়ের ভয়ঙ্কর ধর্ষণ ও মেয়ের খুন। রবিনার মতে কিন্তু, ফাঁসির সাজা থাকলে ধর্ষকদের মনে ভয় ঢুকবে।

যে ঘটনার জেরে এত কিছু, সেই কাঠুয়া মামলা নিয়ে আজই রিপোর্ট পেশ করেছে জম্মু-কাশ্মীর পুলিশ। সেখানে স্পষ্ট বলা হয়েছে, আট বছরের ওই নাবালিকাকে একাধিক বার ধর্ষণ করা হয়েছিল। নিহত মেয়েটির সঙ্গে যৌন নির্যাতন হয়নি বলে কয়েকটি সংবাদমাধ্যম সম্প্রতি যে দাবি করেছে, তা সম্পূর্ণ ভুল বলে জানিয়েছে পুলিশ।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement