New Delhi Railway Station Stampede

প্রতি ঘণ্টায় দেড় হাজার জেনারেল টিকিট বিক্রি! তাই কি ভিড় বেড়েছিল নয়াদিল্লি স্টেশনে? প্রশ্ন

শনিবার দুপুর থেকেই প্রয়াগরাজের ট্রেনের জন্য নয়াদিল্লি স্টেশনে চাহিদা ছিল প্রচুর। রিপোর্টে দাবি, চাহিদা এত বেড়ে গিয়েছিল যে, প্রতি ঘণ্টায় ১৫০০ করে জেনারেল টিকিট বিক্রি করা হচ্ছিল।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

শেষ আপডেট: ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১১:০১
Share:

প্রয়াগরাজের ট্রেনে কুম্ভের পুণ্যার্থীদের হুড়োহুড়ি। শনিবার রাতে নয়াদিল্লি স্টেশনে। ছবি: পিটিআই।

শনিবার রাতে নয়াদিল্লি স্টেশনে পদপিষ্ট হয়ে অন্তত ১৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। মহাকুম্ভে যাওয়ার জন্য সেখান থেকে প্রয়াগরাজের ট্রেন ধরতে গিয়েছিলেন মানুষ। আচমকা ভিড় নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। কিন্তু এত বিপুল সংখ্যক মানুষ কেন একসঙ্গে জড়ো হলেন স্টেশনে? অনেকে বলছেন, প্রচুর সংখ্যায় জেনারেল টিকিট বিক্রি করা হচ্ছিল। কিন্তু সেই অনুপাতে ট্রেন ছিল না। সেই কারণেই ভিড় অস্বাভাবিক বেড়ে যায়।

Advertisement

শনিবার দুপুর থেকেই প্রয়াগরাজের ট্রেনের জন্য নয়াদিল্লি স্টেশনে চাহিদা ছিল প্রচুর। একটি রিপোর্টে দাবি, রাতে চাহিদা এত বেড়ে গিয়েছিল যে, প্রতি ঘণ্টায় ১৫০০ করে জেনারেল টিকিট বিক্রি করা হচ্ছিল। নয়াদিল্লি থেকে প্রয়াগরাজের দূরত্ব ৬৭৫ কিলোমিটার। ট্রেনে এই দূরত্ব অতিক্রম করতে আট থেকে ন’ঘণ্টা লাগে। জেনারেল টিকিট কেটেই এই দূরত্ব অতিক্রমের চেষ্টা করছিলেন যাত্রীরা। তাঁদের গন্তব্য ছিল মহাকুম্ভ মেলা।

অভিযোগ, যে হারে জেনারেল টিকিট বিক্রি করা হয়েছিল, সেই অনুপাতে ট্রেন ছিল না। ট্রেনের সংখ্যা ছিল হাতেগোনা। তার উপর দু’টি ট্রেন পর পর ‘লেট’ করে। সেই ট্রেনগুলির যাত্রীরা প্ল্যাটফর্মেই ছিলেন। ফলে একটা সময়ে ভিড় উপচে পড়ে স্টেশনে।

Advertisement

শনিবারের পদপিষ্টের ঘটনায় যাঁদের মৃত্যু হয়েছে, তাঁদের অধিকাংশই মহিলা এবং শিশু। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ভিড়ের ঠেলায় যাঁরা পড়ে গিয়েছিলেন, তাঁদের মাড়িয়েই বাকিরা ট্রেন ধরতে এগিয়ে যান। চেষ্টা করেও কেউ কাউকে সাহায্য করতে পারেননি। এই ঘটনায় রাতেই শোকপ্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। রবিবার সকালে রেলের তরফে ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করা হয়েছে। সংবাদ সংস্থা এএনআই জানিয়েছে, মৃতদের পরিবারকে ১০ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। যাঁদের আঘাত গুরুতর, তাঁরা আড়াই লক্ষ টাকা করে পাবেন। যাঁদের আঘাত গুরুতর নয়, তাঁদের এক লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা জানিয়েছেন রেল কর্তৃপক্ষ। রেলের তরফে এই ঘটনার কারণ অনুসন্ধানের জন্য উচ্চ পর্যায়ের তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। দুই সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে রেল।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement