মৃত্যুর জন্য সিনিয়রদেরই দায়ী করেছে সাইয়ের হস্টেলে আত্মঘাতী খেলোয়াড় অপর্ণা। এমনটাই দাবি করেছেন তার মা। অপর্ণার মায়ের দাবি, মৃত্যুর কয়েক ঘণ্টা আগে হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে শেষ বারের মতো অপর্ণা তাঁর কাছে সিনিয়রদের অত্যাচারের কথাই বলেছিলেন। অপর্ণার বাকি তিন বন্ধু অবশ্য এখনও মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই চালাচ্ছে। এদের মধ্যে এক কিশোরীর অবস্থা আশঙ্কাজনক।
বুধবার হস্টেলের ঘরে অপর্ণা-সহ চার জনকে অচৈতন্য অবস্থায় পাওয়া যায়। তাদের আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। গত কাল সকালে মারা যায় অপর্ণা। চিকিৎসকরা জানান, বিষফল খেয়ে আত্মঘাতী হওয়ার চেষ্টা করেছে ওই চার জন। বাকি তিন খেলোয়াড়ের মধ্যে এক জনের অবস্থা সঙ্কটজনক। বছর ষোলোর ওই কিশোরীকে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। অন্য দু’জনের অবস্থা স্থিতিশীল।
ঘটনার দিন হস্টেলের ঘর থেকে সুইসাইড নোট পাওয়া গেলেও ওই খেলোয়াড়দের আত্মহত্যার চেষ্টার কারণ সম্পর্কে কোনও স্পষ্ট ইঙ্গিত মেলেনি। তবে আজ অপর্ণার মায়ের বয়ান নতুন বিতর্ক তৈরি করেছে।
অপর্ণার মা গীতা জানালেন, তাঁর মেয়ে মানসিক চাপ ও অত্যাচারের ফলেই আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছে তাঁর মেয়ে। তাঁর দাবি, মৃত্যুশয্যায় অপর্ণা তাঁকে বলেছিল, ‘‘সিনিয়র দিদিদের অত্যাচারের জন্যই আমি এটা করলাম।’’ প্রশ্ন উঠছে এ কথা অপর্ণা তার বাড়িতে জানায়নি কেন? গীতার বক্তব্য, ১৫ এপ্রিল অপর্ণা বাড়ি ফিরেছিল। তখন সে বলেছিল, ‘‘সিনিয়র দিদিদের সঙ্গে এক ঘরে আর থাকা যাচ্ছে না। হস্টেলের ওয়ার্ডেনকে জানিয়েছি। তিনি তিন মাসের মধ্যে অন্য ঘর দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন।’’ পাছে বাবা-মা চিন্তা করেন, সে জন্য পরে হস্টেলে ফিরে সে জানিয়েছিল, সব ঠিক হয়ে গিয়েছে। আর কোনও সমস্যাই নেই।