Rahul Gandhi

সাড়ে ৩ মাস পরে পথে রাহুল ও প্রিয়ঙ্কা

শুক্রবার গোটা দেশেই কংগ্রেস রাজভবন ঘেরাও এবং কিসান অধিকার দিবস পালনের ডাক দিয়েছিল।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১৬ জানুয়ারি ২০২১ ০৪:০৮
Share:

পাশে: যন্তর মন্তরে পঞ্জাবের কংগ্রেস সাংসদদের ধর্নায় রাহুল-প্রিয়ঙ্কা। শুক্রবার। —নিজস্ব চিত্র

অক্টোবরের গোড়ায় হাথরসে দলিত তরুণীর গণধর্ষণের ঘটনায় শেষ বার দুই ভাইবোনকে একসঙ্গে রাস্তায় নামতে দেখা গিয়েছিল। তার সাড়ে তিন মাস পরে কৃষি আইনের বিরুদ্ধে রাহুল গাঁধী ও প্রিয়ঙ্কা গাঁধী বঢরা ফের দিল্লির রাস্তায় নামলেন।

Advertisement

শুক্রবার গোটা দেশেই কংগ্রেস রাজভবন ঘেরাও এবং কিসান অধিকার দিবস পালনের ডাক দিয়েছিল। রাহুল-প্রিয়ঙ্কা আজ দিল্লিতে উপরাজ্যপালের বাসভবন রাজ নিবাস অভিযানে শামিল হন। কংগ্রেসের মিছিলে পুলিশ বাধা দেওয়ায় রাহুল-প্রিয়ঙ্কা যন্তর মন্তরে পঞ্জাবের কংগ্রেস সাংসদদের ধর্নায় যোগ দেন। গত এক মাস ধরে পঞ্জাবের কংগ্রেস সাংসদেরা ধর্না দিলেও রাহুল এত দিন সেখানে যাননি। তিনি বিদেশে থাকার সময়ে অবশ্য প্রিয়ঙ্কা তাঁদের সঙ্গে রাহুলের বাসভবনেই বৈঠক করেছিলেন। এ দিন রাহুল-প্রিয়ঙ্কা ধর্নায় যোগ দেওয়ায় স্বাভাবিক ভাবেই পঞ্জাবের সাংসদরা চাঙ্গা হয়েছেন। কিন্তু তাঁরা চলে যাওয়ার পরেই পুলিশ সাংসদদের আটক করে থানায় নিয়ে যায়।

গত ৫০ দিনের বেশি সময় ধরে কৃষক আন্দোলন চললেও কংগ্রেস কেন সেভাবে সক্রিয় হচ্ছে না, তা নিয়ে বিরোধী শিবিরেই প্রশ্ন উঠেছিল। রাহুল অক্টোবরের গোড়াতেই পঞ্জাবে ট্রাক্টর মিছিলে যোগ দিয়েছিলেন। প্রিয়ঙ্কা এক বার দিল্লিতে কংগ্রেসের কৃষি আইন বিরোধী মিছিলে যোগ দিয়ে পুলিশের হাতে আটক হন। দিল্লির মিছিলে কংগ্রেস নেত্রী অলকা লাম্বা আহত হন। এ দিন ফের দুই ভাইবোন মাঠে নামায় কংগ্রেসের নেতা-কর্মীরাও উজ্জীবিত। রাহুলের বক্তব্য, ‘‘বিজেপি সরকারকে কৃষি আইন প্রত্যাহার করতেই হবে। কংগ্রেস আইন প্রত্যাহার না হওয়া পর্যন্ত হাল ছাড়বে না। মোদীজি জমি অধিগ্রহণ ও পুনর্বাসন আইন রদ করার চেষ্টা করেছিলেন। আমরা আটকেছিলাম। যদি এ দেশের খাদ্য নিরাপত্তা চলে যায়, তা হলে দেশের স্বাধীনতাও চলে যাবে। কৃষকদের পরে মধ্যবিত্ত, শ্রমিক, পেশাদারদের উপরে হামলা হবে।’’ পরে কৃষিমন্ত্রী নরেন্দ্র সিংহ তোমর বলেন, ‘‘রাহুলের কথাবার্তা ও কাজকর্মে কংগ্রেস নেতারাই উপহাস করেন। উনি কংগ্রেসের ইস্তাহার পড়ে দেখুন, কংগ্রেসই এই সংস্কারের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। তার পর সনিয়া ও রাহুল গাঁধী বলুন, ওঁরা তখন মিথ্যে বলেছিলেন না এখন মিথ্যে বলছেন।’’

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন