তেলঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাওয়ের বিরুদ্ধে পরিবারতন্ত্র চালানোর অভিযোগ এনেছিলেন রাহুল গাঁধী। আর তার পরেই রাও পাল্টা জানিয়ে দিলেন, কংগ্রেস-বিজেপি নয়, ফেডারেল ফ্রন্টই দেশের বিকল্প হতে পারে। এই চাপানউতোরের জেরে বিরোধী শিবিরে ফের টানাপড়েনের সৃষ্টি হয়েছে। এর মধ্যেই মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, তেলঙ্গানার বিধানসভা ভোট এগিয়ে নিয়ে আসতে চান তিনি। পরের ছয় মাসের মধ্যে যে কোনও সময়ে সে রাজ্যে ভোট হতে পারে।
দু’দিনের সফরে তেলঙ্গানায় যান রাহুল। ওসমানিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়াদের সঙ্গে তাঁর আলোচনার কর্মসূচি ও পরে কংগ্রেসের রোড শো, বাইক মিছিলের অনুমতি দেয়নি রাজ্য সরকার। নিরাপত্তার কারণেই এই পদক্ষেপ করা হয়েছে বলে দাবি করা হলেও এর পিছনে রাজনীতির কৌশল দেখছেন অনেকে। এই প্রেক্ষাপটেই কাল কেসিআর ও তাঁর পরিবারকে নিশানা করেন রাহুল। স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সদস্যদের নিয়ে অনুষ্ঠানে কংগ্রেস সভাপতি বলেন, ‘‘তেলঙ্গানায় একটি পরিবারই রাজত্ব করছে। সব কিছুতে লাভবান হচ্ছে তাঁরাই। প্রধানমন্ত্রী কিংবা তেলঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী কেউই জনতাকে দেওয়া প্রতিশ্রুতি রাখেননি।’’ রাফাল দুর্নীতির অভিযোগ টেনে মোদীর পাশাপাশি কেসিআরকেও নিশানা করেছেন রাহুল।
পাল্টা আক্রমণে নামেন চন্দ্রশেখরও। তাঁর দাবি, এই মুহূর্তে কংগ্রেস ও বিজেপির থেকে দূরে থেকে ফেডারেল ফ্রন্ট গঠনই একমাত্র পথ হতে পারে। তেলঙ্গানার ভোট পরের বছরের মাঝামাঝি সময়ে নির্ধারিত। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী জানান, ভোট এগিয়ে আনার পক্ষে তিনি। সে জন্য সেপ্টেম্বরেই টিআরএস-এর প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করা হবে।
সম্প্রতি মোদীর সঙ্গে চন্দ্রশেখর দু’বার বৈঠক করায় জল্পনা ছিল, বিজেপির সঙ্গে গোপন সমঝোতা হয়েছে টিআরএস-এর। রাজ্যসভার ডেপুটি চেয়ারপার্সনের ভোটে রাও বিজেপির পাশে দাঁড়ানোয় সেই জল্পনা আরও বেড়ে যায়। মুখ্যমন্ত্রীর অবশ্য দাবি, বিধানসভায় তাঁর দল একাই লড়বে। তবে কংগ্রেসের যুক্তি, ফেডারেল ফ্রন্টের সওয়াল করে বিরোধী শিবিরে ভাঙন ধরিয়ে বিজেপির ফায়দা করে দিতে চান রাও।