বিহারের খসড়া ভোটার তালিকায় ‘মৃত’ হিসেবে বাদ গিয়েছে অনেকের নাম। এমনই কয়েক জনের সঙ্গে বুধবার নয়াদিল্লিতে দেখা করেন লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী। পিটিআই
‘‘শুনেছি, আপনারা নাকি জীবিত নন?’’
রাহুল গান্ধীর এই প্রশ্নে মুন্না কুমার, বনচিয়া দেবীরা উত্তর দিলেন, ‘‘হ্যাঁ, বেঁচে থাকতেই মরে গিয়েছি।’’
বিহারের খসড়া ভোটার তালিকা অনুযায়ী মৃতের তালিকায় থাকা দুই ভোটার মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টের সামনে হাজির হয়েছিলেন। আর আজ লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী দিল্লিতে নিজের বাসভবনে এমন সাত জন ভোটারের সঙ্গে দেখা করলেন, চা খাওয়ালেন— যাঁদের নাম নির্বাচন কমিশনের খসড়া তালিকা থেকে মৃত ভোটার বলে বাদ গিয়েছে। রাহুল তাঁদের প্রশ্ন করেন, ‘‘জানলেন কী ভাবে যে আপনাদের নির্বাচন কমিশন মৃত বলে দিয়েছে?’’ বিহারের বাসিন্দারা জানান, খসড়া তালিকায় নাম না থাকায় তাঁরা খোঁজ নিয়ে দেখেন, তাঁদের মৃতের তালিকায় নাম রয়েছে। একটি গ্রাম পঞ্চায়েতে এমন ৫০ জনের নাম মৃতের তালিকায় রয়েছে। খবর, আজ যে সাত জন ‘মৃত ভোটার’ রাহুলের সঙ্গে দেখা করেছেন, তাঁরা তেজস্বী যাদবের বিধানসভা কেন্দ্র রাঘোপুরের বাসিন্দা। তাঁরা ভোটার তালিকায় বিশেষ পরিমার্জনের গণনাপত্রও জমা দিয়েছিলেন।
নির্বাচন কমিশন অবশ্য আজ সুপ্রিম কোর্টে বলেছে, খসড়া ভোটার তালিকায় ভুলচুক থাকলে তা শুধরে নেওয়া হবে। সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিরাও বলেছেন, কিছু ভুল হয়ে থাকতেই পারে। কিন্তু কংগ্রেসের দাবি, এটা ভুল নয়। রাজনৈতিক ভাবে ভোটাধিকার কেড়ে নেওয়ার ছক। আজ যুব কংগ্রেসের নেতারা নির্বাচন কমিশনের দফতরের সামনে গিয়ে ‘ভোট চোরের দফতর’ লেখা হোর্ডিং লাগিয়েছেন। নরেন্দ্র মোদীর লোকসভা কেন্দ্র বারাণসীতে পরাজিত কংগ্রেস প্রার্থী অজয় রাই বিজয়োৎসব করে দাবি করেছেন, তিনিই আসলে জিতেছিলেন। মোদী তাঁকে ভোটার তালিকায় কারচুপি করে হারিয়েছেন।
মঙ্গলবার কংগ্রেস নেতাদের বৈঠকে ভোটার তালিকায় কারচুপি নিয়ে আলোচনার সময় রাহুল বলেছিলেন, কংগ্রেস গত লোকসভায় ৭০টি আসনে ৫০ হাজারের কম ভোটে হেরেছে। কংগ্রেস সূত্রের দাবি, এর মধ্যে অন্তত ৪৮টি আসনে ভোটার তালিকায় কারচুপি করা হয়েছে। রাহুল আগামী দিনে তার ‘প্রমাণ’ পেশ করবেন। কংগ্রেস নেতা সচিন পাইলট অবশ্য দলকে সতর্ক করে বলেছেন, দলের নিজস্ব খামতিও মাথায় রাখা দরকার। হেরে যাওয়া প্রার্থীরা সবাই যেন ভোটার তালিকায় কারচুপিকে দোষারোপ না করেন। কংগ্রেস সূত্রের বক্তব্য, সব দোষ ভোটার তালিকার বলে ধরে নিলে দলের নিজের খামতি ধামাচাপা পড়ে যাবে।
প্রতিদিন ২০০’রও বেশি এমন প্রিমিয়াম খবর
সঙ্গে আনন্দবাজার পত্রিকার ই -পেপার পড়ার সুযোগ
সময়মতো পড়ুন, ‘সেভ আর্টিকল-এ ক্লিক করে