হিমন্তের আশায় জল ঢেলে দিলেন স্বয়ং রাহুল গাঁধী। অসমের মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে তরুণ গগৈকে সরিয়ে বিক্ষুব্ধ নেতা হিমন্তবিশ্ব শর্মাকে মুখ্যমন্ত্রী করতে আদৌ রাজি নন কংগ্রেস সহ-সভাপতি। কংগ্রেস সূত্রে জানা গিয়েছে, রাহুল মনে করেন, হিমন্তকে মুখ্যমন্ত্রী করলে সেটা ভবিষ্যতের জন্য দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে। মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করে তাঁকে অপসারণ করে মুখ্যমন্ত্রী হওয়া যায়, এই নজির কিছুতেই গড়তে দিতে চান না রাহুল। তা ছাড়া তিনি মনে করেন, এমনও নয় যে বিক্ষুব্ধ বিধায়করা সবাই হিমন্তকেই মুখ্যমন্ত্রী পদে দেখতে চাইছেন।
এমনিতে তরুণ গগৈ সম্পর্কে কংগ্রেস হাইকম্যান্ডের বিশেষ দুর্বলতা নেই। অসম কংগ্রেসের বিদ্রোহ দমনে গগৈকে বলি দিতেও হাইকম্যান্ড দু’বার ভাববেন না। বিশেষ করে লোকসভায় কংগ্রেস দলের নেতা মল্লিকার্জুন খড়গে অসম থেকে ফিরে যে রিপোর্ট সভানেত্রী সনিয়া গাঁধীকে দিয়েছেন, তাতেও গগৈকে মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে সরানোর প্রস্তাব রয়েছে। গগৈয়ের পরিবর্তে হিমন্তবিশ্ব শর্মাকে মুখ্যমন্ত্রী পদে বসাতে রাহুল গাঁধী আপত্তি তোলায় সমস্যা দেখা দিয়েছে। রাহুল হিমন্তের পরিবর্তে বিকল্প কাউকে মুখ্যমন্ত্রী করতে গররাজি নন। এমনকী সেই মুখ্যমন্ত্রী হিমন্তের আস্থাভাজনও হলেও অসুবিধা নেই।
কংগ্রেস সূত্র বলছে, এই দ্বন্দ্বের কারণেই অসমে মুখ্যমন্ত্রী বদলের বিষয়টি ঝুলে রয়েছে। তা ছাড়া গগৈকে অপসারণের জন্য বিক্ষুব্ধরা যে ভাবে চাপ তৈরি করার চেষ্টা করছেন তাতে কংগ্রেসের অস্বস্তি বাড়ছে। এবং এই কারণে হিমন্ত-সহ বিক্ষুব্ধ বিধায়কদের উপর হাইকম্যান্ড একেবারেই খুশি নন। এ দিকে, এই পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে আজই গগৈ-বিরোধী শিবির এক সাংবাদিক সম্মেলনে জানিয়েছেন, হাইকম্যান্ডের সিদ্ধান্তের জন্য তাঁরা শনিবার পর্যন্ত অপেক্ষা করবেন। তারপর সোমবার থেকে নেতৃত্ব বদলের দাবিতে চরম অবস্থান নেওয়া হবে। পাল্টা হিসেবে হিমন্ত শিবিরকে বার্তা দিয়েছেন কংগ্রেস হাইকম্যান্ডও। আকবর রোডের কংগ্রেস সদর দফতরে বসে দলের মুখপাত্র অভিষেক মনু সিঙ্ঘভি আজ বলেন, “দল উপযুক্ত সময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নেবে। কিন্তু যে ধরনের চাপ ও হুমকি দেওয়া হচ্ছে তা একেবারেই ঠিক নয়। দলে শিষ্ঠাচার রাখা জরুরি।”