সরকার বাঁচাতে সতর্ক থাকুন, বার্তা রাহুলের

কংগ্রেস সূত্রের খবর, কর্নাটক কংগ্রেসের কার্যনির্বাহী সভাপতি ডি কে শিবকুমারকে পৃথক ভাবে দীর্ঘ সময় দিয়েছেন রাহুল এবং সনিয়া গাঁধী। দ্বিতীয় উপমুখ্যমন্ত্রীর পদটি পাবেন বলে শিবকুমার আশা করেছিলেন।

Advertisement

অগ্নি রায়

শেষ আপডেট: ২৫ মে ২০১৮ ০৩:৩৭
Share:

ছবি: পিটিআই।

সব সময় সতর্ক থাকুন। জোট সরকারে বোঝাপড়ার সমস্যা আসেই। সে সব বাড়তে না দিয়ে অঙ্কুরেই বিনাশ করুন আলোচনার মাধ্যমে। বিজেপি মরিয়া চেষ্টা চালাবে জোট ভাঙার। প্ররোচিত হবেন না।

Advertisement

এইচ ডি কুমারস্বামী শপথ নেওয়ার আগে কর্নাটক কংগ্রেসের নেতাদের এই ভাষাতেই সতর্ক করলেন রাহুল গাঁধী। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া, দলের বিক্ষুব্ধ নেতা শিবকুমার, কেপিসিসি-র সভাপতি তথা উপমুখ্যমন্ত্রী জি পরমেশ্বরদের সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠক করেছেন কংগ্রেস সভাপতি। কোথায় কোথায় সংগঠনকে মজবুত করতে হবে, ভোটের ফল দেখে তা নিয়েও আলোচনা করেছেন। সূত্রের খবর, রাহুল কর্নাটক কংগ্রেসের নেতাদের জানিয়েছেন, যে ভাবে হোক পরের লোকসভা ভোট পর্যন্ত জোটকে টিঁকিয়ে রাখতেই হবে। কারণ কর্নাটক গোটা দেশের বিরোধীশক্তিকে একমঞ্চে আনার জমি তৈরি করে দিয়েছে। অমিত শাহেরা আপ্রাণ চেষ্টা করবেন বিধায়কদের প্রলুব্ধ করে বা অসন্তোষের সুযোগ নিয়ে তাঁদের কিনে নেওয়ার। কারণ কর্নাটকে সরকার পড়ে গেলে ধাক্কা খাবে দেশে বিজেপি-বিরোধী লড়াই। কংগ্রেস সভাপতি মনে করিয়ে দেন, ইতিমধ্যেই বিজেপি নেতারা খোলাখুলিই হুমকি দিচ্ছেন, কয়েক মাসের মধ্যেই তাঁরা জেডিএস-কংগ্রেসের জোট ভেঙে দেবেন।

কংগ্রেস সূত্রের খবর, কর্নাটক কংগ্রেসের কার্যনির্বাহী সভাপতি ডি কে শিবকুমারকে পৃথক ভাবে দীর্ঘ সময় দিয়েছেন রাহুল এবং সনিয়া গাঁধী। দ্বিতীয় উপমুখ্যমন্ত্রীর পদটি পাবেন বলে শিবকুমার আশা করেছিলেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এক জনকেই উপমুখ্যমন্ত্রী করা হয়েছে। তখন এই লিঙ্গায়েত নেতা চেষ্টা করেছিলেন পরমেশ্বরের জায়গাটি নিতে। না পেয়ে তিনি প্রকাশ্যেই ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। রাহুল শিবকুমারকে বলেছেন, উত্তেজিত না হয়ে অপেক্ষা করতে। সুযোগ মতো তাঁকে অবশ্যই পুরস্কৃত করা হবে।

Advertisement

আরও পড়ুন: জ্যোতিষ আস্থায় আজ আস্থা ভোটে কুমার

প্রদেশ কংগ্রেসের এক নেতা জানান, পিছড় বর্গের মধ্যে প্রভাব বাড়াতে না পারার দিকটি রাহুলের বৈঠকে সামনে এসেছে। শুধু এই কারণেই এ বার বহু কেন্দ্রে নামমাত্র ভোটে হেরেছে কংগ্রেস। রাহুল দলের নেতাদের বলেছেন, আত্মতুষ্ট না হয়ে ২০১৯-এর লোকসভা ভোটে রাজ্যের ২৮টি আসনের জন্য প্রস্তুতি নিতে। তাঁর নির্দেশ, লোকসভায় জোটের চেহারা কি থাকবে কিংবা আদৌ জোট হবে কিনা, সে কথা ভুলে, রাজ্যজুড়ে ভোটের প্রস্তুতি শুরু করে দিতে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement