ফাইল চিত্র।
অর্থনীতির বেহাল দশা নিয়ে অভিযোগের মুখে আত্মরক্ষায় নেমে গত কাল নরেন্দ্র মোদী বলেছিলেন, বিপর্যয় ততটা নয়, নৈরাশ্যবাদীরা যতটা বলছেন। আজ সেই মন্তব্যকেই কটাক্ষ করে ফিরিয়ে দিলেন রাহুল গাঁধী। সকালেই টুইট করেন, ‘জোর খবর। হিমশৈল টাইটানিককে বলছে: বিপর্যয়ের পরিমাণটা বাড়িয়ে দেখাচ্ছে নৈরাশ্যবাদীরা’।
এ দিনই আরও তেড়েফুঁড়ে উঠেছেন বিজেপি নেতা যশবন্ত সিন্হা। গত কাল কর্ণের সারথি থাকাকালীন শল্যের নেতিবাচক ভূমিকার উল্লেখ করে পরোক্ষে তাঁকে খোঁচা দিয়েছিলেন মোদী। আজ যশবন্তের জবাব, তিনি ভীষ্মের ভূমিকা পালন করছেন। তবে অর্থনীতির ‘বস্ত্রহরণ’ দেখে চুপ করে থাকবেন না। এবং এর পরে বিজেপি যদি তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়, তা হলে সেটাই হবে তাঁর জীবনের সেরা দিন। সন্ধ্যায় দিল্লিতে কংগ্রেস নেতা মণীশ তিওয়ারির বই প্রকাশ অনুষ্ঠানেও মোদী-অরুণ জেটলিকে পরোক্ষে ‘দুর্যোধন’ ও ‘দুঃশাসন’ বলেও অভিহিত করেন যশবন্ত।
ব্যবস্থা না নিলেও আজ যশবন্তকে সরাসরি আক্রমণ করেছেন বিজেপি মুখপাত্র অনিল বালুনি। তিনি বলেন, ‘‘কংগ্রেসের বই প্রকাশ অনুষ্ঠানে হাজির থেকেই যশবন্ত বুঝিয়ে দিয়েছেন, অর্থনীতির জ্ঞান তিনি কোথা থেকে পাচ্ছেন। এ-ও প্রমাণ করে দিলেন যে তিনি আছেন কৌরবদের সঙ্গে।’’
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও এ দিন টুইট করে কেন্দ্রকে দুষেছেন। তিনি বলেছেন, ‘‘আমি আগেই বলেছিলাম, নোটবন্দি সবচেয়ে বড় বিপর্যয়। এটা দেশকে ধ্বংস করে দিয়েছে।’’