রাহুল গাঁধী বারবার প্রশ্ন ছুড়ে দিচ্ছেন। কিন্তু নীরব মোদীকে নিয়ে একটি শব্দও খরচ না করে উল্টে দুর্নীতি নিয়ে কংগ্রেসকেই নিশানা করলেন নরেন্দ্র মোদী।
প্রধানমন্ত্রীকে প্রতিদিন প্রশ্ন করার ধারা বজায় রেখে সোমবারও টুইট করেছেন রাহুল: ‘প্রথমে ললিত, তার পর মাল্য। এখন নীরবও হলেন ফেরার। ‘না খাব, না খেতে দেব’ বলা দেশের চৌকিদার কোথায়? সাহেবের নীরবতার রহস্য জানতে জনতা আকুল। তাঁর নীরবতা চিৎকার করে বলছে কাদের প্রতি আনুগত্য তাঁর’?
আজও দিনভর কর্নাটকে বক্তৃতা দিয়েছেন মোদী। কিন্তু ব্যাঙ্ক কেলেঙ্কারি নিয়ে একটি কথাও বলেননি। যদিও দুর্নীতির প্রশ্নে বিঁধেছেন কংগ্রেসকে। মাইসুরুতে তাঁর মন্তব্য, ‘‘আপনারা কী চান? কমিশন-এর সরকার, নাকি মিশন-এর সরকার?’’ মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়ার কংগ্রেস সরকারের পাশাপাশি গাঁধী-নেহরু পরিবারকেও আক্রমণ করে মোদীর অভিযোগ, দীর্ঘ দিন দেশ শাসন করেও মানুষের দারিদ্র দেখে এঁদের মনে কোনও দুঃখ নেই।
আরও পড়ুন: টাকা শোধ আর হবে না! হুমকি নীরবের
ব্যাঙ্ক কেলেঙ্কারি নিয়ে মুখ না খুললেও ব্যাঙ্কিং ব্যবস্থা সংস্কারের কৃতিত্ব নিতে কসুর করেননি মোদী। জনধন প্রকল্পের প্রসঙ্গ টেনে বলেছেন, এই প্রকল্পের মাধ্যমে গরিব মানুষ ব্যাঙ্কিং ব্যবস্থার নিজেদের জুড়ে অন্যের সমকক্ষ মনে করতে পেরেছে।
কংগ্রেস কিন্তু একের পর এক কেলেঙ্কারি নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর জবাব চেয়েই চলেছে। মোদীর উপরে চাপ বাড়াতে রাহুলের নির্দেশে আজ আরও প্রশ্ন তুলেছে কংগ্রেস। অমিত শাহের পুত্র জয়ের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ বা বিচারক লোয়ার মৃত্যুরহস্য বা গুজরাতে গ্যাস দুর্নীতির অভিযোগ—এ যাবৎ মোদী সরকারের বিরুদ্ধে ওঠা সব বড় দুর্নীতির অভিযোগকেও তারা জুড়ে দিয়েছে ব্যাঙ্ক কেলেঙ্কারির সঙ্গে। কংগ্রেসের মণীশ তিওয়ারির প্রশ্ন, কবে প্রথম খোলাখুলি সাংবাদিক সম্মেলন করবেন প্রধানমন্ত্রী? রাফালের দামও তিনি বলছেন না। গতকাল প্রতিরক্ষামন্ত্রী নির্মলা সীতারামণ বলেছেন, ইউপিএ জমানায় ৩০০ গুণ দাম বেড়েছিল রাফালের। সরকার বলুক, তারা কত মূল্যে তা কিনেছে?