বেঙ্গালুরু থেকেই দিল্লি দখলের ছক কষছেন রাহুল

রাজ্য রাজনীতিতে যাঁরা নিজেদের মধ্যে লড়েন, এমন সব নেতারা বেঙ্গালুরুর ওই অনুষ্ঠানে থাকছেন। বিরোধীদের ঐক্যবদ্ধ ছবিকে তুলে ধরতে গত কাল থেকেই উদ্যোগী হয়েছেন রাহুল।

Advertisement

অগ্নি রায়

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২২ মে ২০১৮ ০৪:১৩
Share:

পরের লোকসভা ভোটের জন্য বিরোধীদের একজোট করা শুরু করছেন রাহুল গাঁধী। ছবি: পিটিআই।

দেবগৌড়া-পুত্র এইচ ডি কুমারস্বামীর শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানটি নিছকই উপলক্ষ। আসলে এই মঞ্চকে সামনে রেখেই পরের লোকসভা ভোটের জন্য বিরোধীদের একজোট করা শুরু করছেন রাহুল গাঁধী। কর্নাটকে জোট সরকার শপথ নেওয়ার ৪৮ ঘণ্টা আগে, নরেন্দ্র মোদী-বিরোধী এই সমীকরণ নিয়েই বিরোধী শিবিরে আলোচনা চলছে।

Advertisement

রাজ্য রাজনীতিতে যাঁরা নিজেদের মধ্যে লড়েন, এমন সব নেতারা বেঙ্গালুরুর ওই অনুষ্ঠানে থাকছেন। বিরোধীদের ঐক্যবদ্ধ ছবিকে তুলে ধরতে গত কাল থেকেই উদ্যোগী হয়েছেন রাহুল। বেঙ্গালুরুতে বুধবারের অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকার জন্য উত্তরপ্রদেশের দুই নেতা-নেত্রী অখিলেশ যাদব আর মায়াবতীকে ফোন করেছেন তিনি। যোগাযোগ করা হয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, সীতারাম ইয়েচুরি, ডি রাজা, চন্দ্রবাবু নায়ডু, চন্দ্রশেখর রাও, ওমর আবদুল্লাদের সঙ্গেও। শপথে উপস্থিত থাকতে তাঁরা সকলেই রাজি হয়েছেন।

বিজেপি অবশ্য গোটা প্রক্রিয়াকে লঘু করে দেখাতে চাইছে। তাদের নেতাদের বক্তব্য, কংগ্রেস যখন প্রবল শক্তিশালী ছিল, তখন বিরোধীরা কংগ্রেসের বিরুদ্ধে জোট করতেন। আর আজ মোদী সেই জায়গা নিয়ে নিয়েছেন! তবে অমিত শাহের আশা, এত কিছু করেও লোকসভা ভোটে বিরোধীদের খুঁজে পাওয়া যাবে না।

Advertisement

আরও পড়ুন: আমলার নিয়োগে বদলের প্রস্তাব

তবে শেষ কবে মমতা ও সীতারামকে এক মঞ্চে দেখা গিয়েছে, তা অনেকেই মনে করতে পারছেন না। মায়াবতী-অখিলেশকেও এক মঞ্চে আদৌ দেখা গিয়েছে কিনা, তা নিয়েও চলছে আলোচনা। সম্প্রতি উত্তরপ্রদেশের ফুলপুর ও গোরক্ষপুরের উপনির্বাচনে অখিলেশ-মায়াবতী সমঝোতায় বড় সাফল্য এসেছে। কথা ছিল, লোকসভার সম্ভাব্য জোট নিয়ে দু’জনে চলতি সপ্তাহেই আলোচনা শুরু করবেন। কিন্তু তার আগে বেঙ্গালুরুর মঞ্চ তাঁদের রাজনৈতিক আদানপ্রদানের সুযোগ করে দিচ্ছে।

কর্নাটকের কুর্সি থেকে বিজেপিকে দূরে রাখতে পারা, ২০১৯-এ বিরোধীদের একজোট হওযার প্রক্রিয়াকে যে কতখানি এগিয়ে দিচ্ছে, কুমারস্বামীর শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান তার মস্ত বড় প্রমাণ। নিজেদের ভিতরে রাজনৈতিক সংঘাত ও প্রতিযোগিতা থাকলেও বিজেপি তথা মোদীর বিরোধিতায় আঞ্চলিক দলগুলি যে একসঙ্গে চলছে— এখন তা স্পষ্ট হচ্ছে। সদ্য এনডিএ ছাড়লেও কংগ্রেসের সঙ্গে সুসম্পর্ক নেই চন্দ্রবাবু নায়ডুর। কিন্তু কর্নাটকের মঞ্চে তিনি থাকছেন রাহুলের পাশাপাশি। একই ভাবে মমতার পাশে ইয়েচুরিও।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন