রাহুল গাঁধী
ঝা চকচকে শহর। নামী হোটেলে শিল্পপতি সম্মেলন। উন্নয়নের হাজারো হিসেবনিকেশ। আর রাজনীতিকদের কথার ফুলঝুড়ির মধ্যেই এ দেশে রয়ে গিয়েছে খিদের বিরাট জগৎ। আর তার ব্যাপ্তি রোজই বেড়ে চলেছে।
সম্প্রতি প্রকাশিত ‘গ্লোবাল হাঙ্গার ইনডেক্স-২০১৮’-র এই রিপোর্ট ভারতের আমজনতার এই ভুখা পেটের এমন ছবি সামনে আনতেই নরেন্দ্র মোদী সরকারের বিরুদ্ধে আক্রমণ শানালেন রাহুল গাঁধী। রিপোর্ট বলছে, বিশ্বের ১১৯টি দেশের মধ্যে করা এই সমীক্ষায় ভারতের স্থান ১০৩ নম্বরে। ২০১৪ সালে মোদী যখন ক্ষমতায় আসেন, ভারত ছিল ৫৫ নম্বরে। গত চার বছরে সেই জায়গা পিছিয়ে যেতে যেতে এখন ১০৬-এ। এই নিরিখে ভারতের থেকে অনেক ভাল অবস্থা বাংলাদেশ এমনকি নেপাল, শ্রীলঙ্কারও।
দেশের মানুষের খিদের এই হাল দেখেই আজ টুইটারে মোদীর নাম না করেই রাহুল লিখেছেন, ‘‘চৌকিদার নে ভাষণ খুব দিয়া/ পেট কা আসন ভুল গয়া/ যোগ-ভোগ সব খুব কিয়া/ জনতাকা রেশন ভুল গয়ে।’’ অর্থাৎ, চৌকিদার অনেক ভাষণ দিয়েছেন। কিন্তু ভুলে গিয়েছেন মানুষের পেটের খিদের কথা। যোগ-ভোগ অনেক করেছেন ঠিকই। কিন্তু আমজনতার জন্য রেশনের ব্যবস্থা করার কথা তাঁর মনে নেই।
সরকারে আসার পর থেকেই দেশের মানুষের বিকাশের স্বার্থে বিভিন্ন সামাজিক প্রকল্পের কথা ঘোষণা করেছেন মোদী। বিজেপির দাবি, কংগ্রেসের দীর্ঘ শাসনে উন্নয়ন থমকে গেলেও গত ৪ বছরে মোদীর হাত ধরে বিকাশ হচ্ছে। বিকাশ সম্পর্কে মোদী-অমিত শাহদের দাবিকে কটাক্ষ করে এর আগেও দেশের বিভিন্ন রাজ্যের ভোটে প্রচার করতে দেখা গিয়েছে কংগ্রেসকে। এ বার মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান, ছত্তীসগঢ়ের মতো রাজ্যে বিধানসভা ভোটের ঠিক আগে গ্লোবাল হাঙ্গার ইনডেক্স-এর রিপোর্ট রাহুলদের হাতে নতুন অস্ত্র তুলে দিল।
ইন্টারন্যাশনাল ফুড পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউট ২০০৬ সাল থেকে এই রিপোর্ট সামনে আনছে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মানুষের খাওয়াদাওয়ার পরিস্থিতি বিচার করে। খাবারের মান, পরিমাণের দিকটিও খতিয়ে দেখে তারা।