রাহুল গাঁধী। —ফাইল চিত্র।
‘চৌকিদার চোর হ্যায়’ মন্তব্যের সঙ্গে সুপ্রিম কোর্টের রায় জুড়ে ফেলেছিলেন। তার জন্য ক্ষমা চেয়ে সুপ্রিম কোর্টে নয়া হলফনামা জমা দেবেন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গাঁধী। নতুন করে হলফনামা জমা দিতে চার সপ্তাহ সময় চেয়েছিলেন রাহুলের আইনজীবী অভিষেক মনু সিঙ্ঘভি। কিন্তু তাতে সায় দেয়নি শীর্ষ আদালত। বরং আগামী ৬ মে-র মধ্যে হলফনামা জমা দিতে বলা হয়েছে। তবে সেটি গৃহীত হবে কি না তা হলফনামা হাতে পাওয়ার পরই সিদ্ধান্ত নেবে আদালত।
প্রতিরক্ষা মন্ত্রক থেকে ফাঁস হয়ে যাওয়া নথিপত্রের ভিত্তিতে রাফাল মামলা লড়া যাবে বলে সম্প্রতি জানায় শীর্ষ আদালত। তার পরই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে আক্রমণ করতে গিয়ে বিতর্ক বাধান রাহুল গাঁধী। সুপ্রিম কোর্টও নরেন্দ্র মোদীকে চোর বলেছে বলে মন্তব্য করে বসেন। যা নিয়ে তাঁর বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলা করেন বিজেপি নেত্রী মীনাক্ষী লেখি। বিষয়টি নিয়ে ব্যাখ্যা চাইলে শীর্ষ আদালতে ২২ পাতার হলফনামা জমা দেন রাহুল। তাতে তিনি জানান, ‘‘কোনও আদালতই এমন মন্তব্য করবে না। দুর্ভাগ্যবশত সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ এবং নির্বাচনী প্রচারের মধ্যে আমার করা মন্তব্য মিলেমিশে গিয়েছে, যা আমি একেবারেই বলতে চাইনি।এই মিশেলের জন্য আমি দুঃখিত।’’
মঙ্গলবার মীনাক্ষী লেখির দায়ের করা ওই মামলার শুনানি ছিল প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ, বিচারপতি সঞ্জয় কিষাণ কউল এবং বিচারপতি কেএম জোসেফের ডিভিশন বেঞ্চে। সেখানে রাহুলের আইনজীবী অভিষেক মনু সিঙ্ঘভি জানান, হলফনামায় ইতিমধ্যেই ক্ষমা চেয়ে নিয়েছেন তাঁর মক্কেল। সুপ্রিম কোর্টের রায়ের সঙ্গে চৌকিদার মন্তব্য জুড়ে ফেলার জন্য দুঃখপ্রকাশ করেছেন। ডিকশনারিতে দুঃপ্রকাশের অর্থ ক্ষমা চাওয়া বলেও সাফাই দেন সিঙ্ঘভি। কিন্তু তাঁর যুক্তি মানেননি বিচারপতিরা। প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ বলেন, “২২ পাতা জুড়ে দুঃখপ্রকাশ তো হল, কিন্তু ক্ষমা কোথায় চাওয়া হল?” কংগ্রেস সভাপতির তরফে নয়া হলফনামা দায়ের করা হবে বলে জানান সিঙ্ঘভি।
আরও পড়ুন: দলের ধমক খেয়েই মিডিয়ার ঘাড়ে দায় চাপালেন অনুপম, ‘কেষ্টকাকু’ ২৪ ঘণ্টাতেই ‘কেষ্টদা’
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীকে জেতানোর গর্বেই ভাসছে বারাণসী, মন্ত্র এখন ‘নমামি নমো’
আদালত অবমাননার দায়ে রাহুল গাঁধীর বিরুদ্ধে ফৌজদারি আইনে পদক্ষেপ করতে হবে বলে ইতিমধ্যেই দাবি তুলেছেন মীনাক্ষী লেখি। তাঁর আইনজীবী মুকুল রোহতাগি বলেন, “হলফনামায় শুধু দুঃখপ্রকাশ করেই দায় সেরেছেন রাহুল গাঁধী। নিঃশর্ত ক্ষমা চাইতে হবে ওঁকে। ভুল যখন করেছেন, ক্ষমা তো চাইতেই হবে।”