পিটিআইয়ের তোলা ফাইল চিত্র।
ধারা বজায় রেখে রাহুল গাঁধীও কংগ্রেসের সভাপতি হয়ে প্রথম বার ইফতারের আয়োজন করছেন। এর মাধ্যমে বিরোধী জোটের সলতেও পাকাতে চাইছে কংগ্রেস।
কংগ্রেসের সংখ্যালঘু মোর্চার সদ্য নিযুক্ত প্রধান নাদিম জাভেদ জানান, ১৩ জুন দিল্লির এক পাঁচতারা হোটেলে ইফতারের আয়োজন করা হয়েছে। তাতে রাহুলের ছাড়পত্রও মিলেছে। কংগ্রেসের সংগঠনের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা অশোক গহলৌত এ নিয়ে গত কাল রাতে বৈঠক করেন। বিরোধী নেতা, বিদেশি রাষ্ট্রদূত, সব ধর্মের প্রতিনিধিদের আমন্ত্রণ জানাবে দল।
ইন্দিরা গাঁধীর সময়ে শুরু হওয়া ইফতারের সংস্কৃতি সনিয়া গাঁধীও বজায় রেখেছিলেন। রাহুলের নেতৃত্বে এই প্রথম। রাজনৈতিক নেতৃত্বের বক্তব্য, নরেন্দ্র মোদী ক্ষমতায় আসার পরে দিল্লিতে রাজনৈতিক নেতাদের ইফতারের সংস্কৃতিটাই প্রায় গায়েব হয়ে গিয়েছে। প্রণব মুখোপাধ্যায় রাষ্ট্রপতি থাকাকালীন রাষ্ট্রপতি ভবনে যে ইফতার হত, এ বারে রামনাথ কোবিন্দ সেটিও বন্ধ করে দিয়েছেন।
এখন কংগ্রেস নেতারা চাইছেন, রাহুলের নেতৃত্বে দলের ধর্মনিরপেক্ষ চেহারাটি মেলে ধরতে। রাহুল এর আগে দলিতদের সম্মেলন করেছেন। সোমবার ওবিসি সম্মেলন করবেন। ভোটের সময় তাঁর মন্দির দর্শন নিয়ে বিজেপি বিতর্ক তৈরি করেছে। এ বারে ইফতারের আয়োজন করে বিজেপিকে জবাব দেওয়া যাবে বলে কংগ্রেস সূত্রের দাবি। ঐক্যের বার্তা দিতে মোদী-বিরোধী ধর্মনিরপেক্ষ দলগুলিকেও আমন্ত্রণ জানাবে কংগ্রেস।