শুক্রবার কংগ্রেস সহ-সভাপতি রাহুল গাঁধী শিলচর আসছেন।
দিল্লি থেকে বিশেষ বিমানে কুম্ভীরগ্রামে নেমেই তিনি যাবেন ইন্দিরা ভবনে। জেলা কংগ্রেসের দলীয় কার্যালয়টি প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর নামাঙ্কিত হলেও সেখানে তাঁর কোনও প্রতিমূর্তি নেই। সন্তোষমোহন দেব কেন্দ্রে ভারি শিল্পমন্ত্রী থাকার সময় ভবনটিকে আধুনিকভাবে গড়ে তোলেন। ইন্দিরা গাঁধীর মূর্তি বসানোরও উদ্যোগ নেন। পাশে থাকা রাজীব ভবনের সামনে রাজীব গাঁধীর মূর্তিও আনান। কিন্তু পূর্ণাবয়ব মূর্তিদুটি বসানোর পরই শুরু হয় ফিসফাস। মা-ছেলে কাউকে দেখে বোঝার জো নেই, এ কাদের মূর্তি। মূর্তি দু’টি সেই যে পলিথিনে ঢাকা পড়ে, তা আর খোলা হয়নি।
আনন্দবাজার পত্রিকায় এ সংক্রান্ত খবর ছবি-সহ দু’বার ছাপা হলে সমাধানের সন্ধানে কমিটি গঠন করে জেলা কংগ্রেস কমিটি। সাংসদ সুস্মিতা দেবও ব্যক্তিগত ভাবে উদ্যোগী হন। শেষ পর্যন্ত তাঁরই উদ্যোগে পুরনো মূর্তি সরিয়ে নতুন মূর্তি বসানো হয়। আপাতত শুধু ইন্দিরা গাঁধীর মূর্তিই আনা হয়েছে। তাও অবশ্য আগের মত পূর্ণাবয়ব নয়, এ বার আবক্ষ। সুস্মিতা দেব জানান, ‘‘রাজীব গাঁধীর মূর্তিটিও বদলানো হবে। শিল্পীর ব্যক্তিগত সমস্যার দরুন এক সঙ্গে দুটি কাজ করা গেল না।’’
ফলে পাশের বাড়িতে বাবার মূর্তি পলিথিনে ঢাকা থাকলেও শুক্রবার সকাল ১১টা ২০ মিনিটে কংগ্রেস অফিসে রাহুল ঠাকুরমার মূর্তিটির আবরণ উন্মোচন করবেন। দেড়টায় শিলচরের সতীন্দ্রমোহন দেব স্টেডিয়ামে জনসভায় বক্তব্য রাখবেন তিনি।
কংগ্রেস সরকারি ভাবে এ পর্যন্ত কিছু না জানালেও নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক নেতা জানান, রাহুল গাঁধীর অফিস থেকে এই দু’টি কর্মসূচি চূড়ান্ত হয়েছে। শহরের বিশিষ্টজনদের সঙ্গেও তিনি মতবিনিময় করবেন বলে ঠিক আছে। গাঁধীবাগে শহিদ স্মৃতিসৌধে গিয়ে ভাষাশহিদদের শ্রদ্ধা জানানোরও কথা হচ্ছে। তবে শেষ দু’টি কর্মসূচি এখনও পাকা হয়নি। সেগুলি নির্ভর করছে তাঁর নগাঁওয়ের কর্মসূচির উপরেই। রাহুল সেদিনই শিলচর থেকে নগাঁও চলে যাবেন।
সর্বভারতীয় সহ-সভাপতির সভায় যোগ দিতে মুখ্যমন্ত্রী তরুণ গগৈ ও কংগ্রেস সভাপতি অঞ্জন দত্তও ৪ মার্চ সকালে শিলচর আসছেন। রাহুলের সভার প্রস্তুতি খতিয়ে দেখতে এআইসিসি সাধারণ সম্পাদক সি পি জোশি এবং সম্পাদক অবিনাশ পাণ্ডের কালই শিলচর আসার কথা।