কাল ধর্নায় বসতে চলেছেন রাহুলও

রাহুল দিল্লিতে না থাকলেও প্রিয়ঙ্কা গাঁধী বঢরা ইতিমধ্যে দু’দিন ইন্ডিয়া গেটে সিএএ ও এনআরসি-র বিরুদ্ধে প্রতিবাদে অংশ নিয়েছেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা 

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২২ ডিসেম্বর ২০১৯ ০৩:৩১
Share:

রাহুল গাঁধী।

নয়া নাগরিকত্ব আইন ও এনআরসি-র প্রতিবাদে ধর্নায় বসছেন কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্ব। সোমবার দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত দিল্লির রাজঘাটে এই ধর্নায় কংগ্রেসের অন্তর্বর্তী সভানেত্রী সনিয়া গাঁধীর সঙ্গে রাহুল গাঁধীও যোগ দেবেন বলে দলীয় সূত্রের খবর।
১৪ ডিসেম্বর রামলীলা ময়দানে মোদী জমানায় আর্থিক সঙ্কটের বিরুদ্ধে জনসভায় আক্রমণাত্মক হয়েছিলেন রাহুল গাঁধী। কিন্তু তার পরের দিনই বিদেশে চলে যান। রাহুলের দফতর জানিয়েছিল, ‘অফিসিয়াল’ সফর। কিন্তু কী রকম ‘অফিসিয়াল’ তা জানায়নি। দক্ষিণ কোরিয়ার প্রধানমন্ত্রী লি নাক-ইয়নের সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন রাহুল। কিন্তু তার পরে তিনি কোথায় ছিলেন, সে তথ্য মেলেনি। কংগ্রেস সূত্রের খবর, শনিবার রাতেই দিল্লি ফিরছেন রাহুল। সোমবার রাজঘাটে যাবেন তিনি।

Advertisement

রাহুল দিল্লিতে না থাকলেও প্রিয়ঙ্কা গাঁধী বঢরা ইতিমধ্যে দু’দিন ইন্ডিয়া গেটে সিএএ ও এনআরসি-র বিরুদ্ধে প্রতিবাদে অংশ নিয়েছেন। আজ প্রিয়ঙ্কার উপস্থিতিতেই কংগ্রেসের শীর্ষ নেতাদের বৈঠক হয়। জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়াও বৈঠকে ছিলেন। সোমবারের ধর্নায় সনিয়া, রাহুলের পাশাপাশি প্রিয়ঙ্কা ও কংগ্রেসের অন্য শীর্ষ নেতারা যোগ দেবেন।

অন্য দিকে, রবিবার দিল্লির রামলীলা ময়দানে নরেন্দ্র মোদীও বিরাট জনসভা করে দিল্লি বিধানসভা ভোটের প্রচার শুরু করে দিচ্ছেন। লোকসভা ভোটের প্রচারপর্বের পরে দিল্লিতে মোদীর এটাই প্রথম জনসভা।

Advertisement

নাগরিকত্ব আইন, এনআরসি-র বিরুদ্ধে গোটা দেশে ছাত্রছাত্রী থেকে শুরু করে আমজনতা প্রতিবাদে রাস্তায় নামলেও কংগ্রেস এখনও সে ভাবে মাঠে নামতে পারেনি। ফলে বিরোধী শিবিরেও এ নিয়ে প্রশ্ন তৈরি হয়েছে। আজ এআইসিসি-তে সব দিক আলোচনা করেই রাজঘাটে ধর্নার সিদ্ধান্ত হয়। বিক্ষোভকারীদের পাশে দাঁড়ানোর বার্তা দিতে আজ প্রিয়ঙ্কা এক বিবৃতি জারি করে জানান, দেশের সর্বত্র পড়ুয়া, বিশিষ্টজন, সমাজকর্মী, আইনজীবী, সাংবাদিকদের বেআইনি গ্রেফতারি নিন্দনীয়। এটা গণতন্ত্রের কালো দিন। মানুষের আওয়াজ দমন করতে দেশে স্বেচ্ছাচারী তাণ্ডব চলছে। তাঁর অভিযোগ, বিজেপি সরকার নোট বাতিল করে গরিব মানুষকে লাইনে দাঁড় করিয়েছিল। একই ভাবে এনআরসি, নাগরিকত্ব আইনও মানুষকে লাইনে দাঁড় করাবে। বিজেপি বারবার অভিযোগ তুলছে, হিংসাত্মক আন্দোলনের পিছনে কংগ্রেসের মদত রয়েছে। আজ প্রিয়ঙ্কা বলেন, ‘‘কংগ্রেস শান্তি-সৌহার্দ্য বজায় রাখার আবেদন করছে। সত্য-অহিংসার পথেই দেশের স্বাধীনতা এসেছিল। আজও গাঁধীর সত্য-অহিংসার পথেই বাবাসাহেব অম্বেডকরের সংবিধান রক্ষা করা জরুরি।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন