দলিত, আদিবাসীদের মতো কংগ্রেসের চিরাচরিত ভোটব্যাঙ্ক ফিরে পেতে এ বারে সক্রিয় হলেন রাহুল গাঁধী। পাশাপাশি সংখ্যালঘুদের কাছে কংগ্রেসের বার্তা আরও ভাল ভাবে পৌঁছে দিতেও উদ্যোগী হয়েছে কংগ্রেস।
আজ থেকে তিনি বৈঠক শুরু করলেন দিল্লিতে। প্রথম দফায় বৈঠক করলেন আদিবাসী নেতাদের সঙ্গে। এরপর দলিত নেতাদের সঙ্গেও বৈঠক করবেন। এমনকী উত্তরপ্রদেশের সহারণপুরেও তিনি যেতে পারেন, যেখানে দলিত নিগ্রহের অভিযোগ উঠেছে। এআইসিসি-র দলিত বিভাগের চেয়ারম্যান কে রাজু বলেন, ‘‘দলিত-আদিবাসী বরাবর কংগ্রেসের ভোটব্যাঙ্ক ছিল। কিন্তু কংগ্রেসের উপরে তাঁরা আস্থা হারাচ্ছেন কেন, সেটি জানতে চাইছেন রাহুল গাঁধী। সে কারণেই ধারাবাহিক বৈঠক করছেন।’’ কে রাজুর মতে, তাঁদের সমস্যার কথা শুনে রাহুল কংগ্রেসে আদিবাসী-দলিতদের আস্থা ফেরানোর চেষ্টা করবেন। তবে কাজটি যে কঠিন তা মেনে নিচ্ছেন তিনিও।
উত্তরপ্রদেশে যোগী সরকার আসার পর থেকে রাজপুত ও দলিতদের মধ্যে জাতি সংঘর্ষ শুরু হয়েছে। দলিতদের অভিযোগ, পুলিশের মদতে ঠাকুররা নির্যাতন করছেন দলিতদের উপর। এই ঘটনার প্রতিবাদে ‘ভীম সেনা’ নামে এক সংগঠন বিক্ষোভের আঁচ নিয়ে এসেছে দিল্লির যন্তর-মন্তরে। চন্দ্রশেখর আজাদ নামে এক নেতার উত্থানও হয়েছে সেখানে। কিন্তু কংগ্রেস নেতৃত্বের সন্দেহ, দলিত নেত্রী মায়াবতীকে টক্কর দেওয়ার জন্য চন্দ্রশেখর আজাদের পিছনে বিজেপির হাত রয়েছে। কারণ, তাঁর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা থাকলেও উত্তরপ্রদেশে তাঁকে এখনও ধরেনি পুলিশ। আর যে দিল্লির পুলিশ মোদী সরকারের অধীনে, সেখানে তিনি কী করে খোলা মঞ্চে সভা করে গেলেন?
কিন্তু রাহুল মনে করছেন, খেলা যারই হোক না কেন, কংগ্রেসের উপরে আস্থা ফেরানোই দলের লক্ষ্য হওয়া উচিত। প্রশাসন যেখানে ব্যর্থ হয়, সেখানেই অসন্তোষ বাড়ে আদিবাসী, দলিতদের উপর। সেই অসন্তোষকে পুঁজি করে তাদের পাশে দাঁড়াতে হবে। ক’দিন আগে এ কারণেই গুজরাতের আদিবাসী এলাকায় সভা করেছেন রাহুল। নেতাদের রাহুল জানিয়েছেন, ইউপিএ সরকার আদিবাসী, দলিতদের স্বার্থরক্ষার জন্য অনেক পদক্ষেপ করেছে। তাঁদের সে কথা স্মরণ করিয়ে ফের মন জয় করতে হবে।
পাশাপাশি সংখ্যালঘুদের মধ্যে প্রচার নিয়েও নতুন ভাবে ভাবছে কংগ্রেস। তাই জওহরলাল নেহরুর আমলের উর্দু সংবাদপত্র ‘কওমি আওয়াজ’ ফের চালু করার কথা ভাবছে তারা। ওই সংবাদপত্রটি ২০০৮ সালে বন্ধ হয়ে গিয়েছিল।