অক্ষি-ধ্বস্ত এলাকায় গিয়ে বার্তা রাহুলের

বলেন, ‘‘এখন ধীবরদের জন্যও আলাদা মন্ত্রক থাকা প্রয়োজন। যাতে তাঁদের সমস্যাগুলির দ্রুত সমাধান করা সম্ভব হয়।’’

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ১৫ ডিসেম্বর ২০১৭ ০৩:২০
Share:

ভরসার হাত: কেরলের পুনথুরা গ্রামে রাহুল গাঁধী। ছবি: পিটিআই।

ঘূর্ণিঝড় অক্ষির শিকার পরিবারগুলির পাশে দাঁড়ানোর বার্তা দিলেন রাহুল গাঁধী। বৃহস্পতিবার কেরল এবং তামিলনাড়ু যান কংগ্রেসের নির্বাচিত সভাপতি। তিরুঅনন্তপুরমে পৌঁছে অক্ষিতে মৃতদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান রাহুল। অক্ষি-বিধ্বস্ত কেরলের পুনথুরা, ভিঝিনজাম, থায়িক্কড়, পালায়াম এলাকাও ঘুরে দেখেন তিনি। কথা বলেন গ্রামের মৎস্যজীবীদের সঙ্গে। তামিলনাড়ুর চিন্নাথুরাইতেও যান রাহুল। মৎস্যজীবীদের জন্য আলাদা মন্ত্রকের প্রয়োজনীয়তার কথাও তোলেন তিনি।

Advertisement

সম্প্রতি দক্ষিণ ভারতে আছড়ে পড়েছিল ঘূর্ণিঝড় অক্ষি। তার প্রকোপ টের পেয়েছিল গুজরাত এবং মহারাষ্ট্রও। তবে এই ঘূর্ণিঝড়ের দাপটে লন্ডভন্ড দশা হয় কেরল এবং তামিলনাড়ুর। এখনও নিখোঁজ রয়েছেন এই দুই রাজ্যের ৫০০-রও বেশি মৎস্যজীবী। এ দিন কেরলের ভিঝিনজামে ধীবরদের উদ্দেশে রাহুল বলেন, ‘‘আমি বুঝতে পারছি আপনারা খুবই কষ্টের মধ্যে রয়েছেন। আপনাদের জীবনও ঝুঁকিপূর্ণ। তার পর আপনারা এখন এই রকম অবস্থার মুখোমুখি। যে যে পরিবার তাদের সদস্যদের হারিয়েছে, সেই পরিবারগুলির প্রতি আমি সমবেদনা জানাচ্ছি।’’ এর পরেই মৎস্যজীবীদের জন্য একটি আলাদা মন্ত্রক গড়ার কথা বলেন রাহুল। বলেন, ‘‘এখন ধীবরদের জন্যও আলাদা মন্ত্রক থাকা প্রয়োজন। যাতে তাঁদের সমস্যাগুলির দ্রুত সমাধান করা সম্ভব হয়।’’

ধীবরদের পাশাপাশি কৃষকদের দুর্দশার কথাও টানেন কংগ্রেসের হবু সভাপতি। বলেন, ‘‘ধীবর এবং কৃষক— দুই সম্প্রদায়ই এখন কঠিন সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে।’’

Advertisement

আগেই তিরুঅনন্তপুরম সফর করার কথা ছিল রাহুলের। কিন্তু অক্ষির কারণেই তা পিছিয়ে যায়। আর এ দিন সেই সফরে এসে অক্ষি-বিধ্বস্ত মৎস্যজীবীদের কাছে টানার কাজটি করলেন বেশ ভাল ভাবেই। রাহুলের কথায়, ‘‘কোনও দুর্ঘটনা ঘটলে তার থেকে শিক্ষা নেওয়া উচিত। যাতে ভবিষ্যতে এই রকম দুঃখজনক ঘটনা এড়ানো যায়। যে সব মৎস্যজীবী সমুদ্রে যান, তাঁদের সতর্ক করার জন্য আরও উন্নত মানের প্রযুক্তি থাকা দরকার।’’

প্রাণ যাওয়া মৎস্যজীবীদের আত্মীয়-স্বজনদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘‘আপনাদের কেউ ছেলে হারিয়েছেন, কেউ স্বামী। এই ক্ষতি অপূরণীয়। তবে যতটা সম্ভব আপনাদের জীবন সহজ এবং আরামদায়ক করার চেষ্টা করব আমরা।’’ মঙ্গলবার অক্ষি-বিধ্বস্ত এলাকা ঘুরে দেখেন তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী পলানীস্বামীও। অক্ষিতে নিহত মৎস্যজীবীদের পরিবারগুলিকে দেওয়া ক্ষতিপূরণ বাড়িয়ে ২০ লক্ষ টাকা করার কথা ঘোষণা করেছেন তিনি। মৎস্যজীবী ছাড়া অন্য মৃতদের পরিবারগুলিকে দেওয়া ক্ষতিপূরণের টাকা বাড়িয়ে ১০ লক্ষ করা হয়েছে।

মঙ্গলবার কোচিতে মৃত আরও দু’জনের দেহ উদ্ধার হয়েছে। কেরল সরকার জানিয়েছে, রাজ্যে অক্ষিতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬৬। কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন জানিয়েছেন, মৎস্যজীবীদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা (ইসরো)-র সহায়তায় আরও উন্নত মানের প্রযুক্তি গড়ার পরিকল্পনা নিয়েছে রাজ্য।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement