Indian Railways

ভাড়া কমাল রেল, চার বছর পরে ভোটের মুখে ‘প্যাসেঞ্জার’ হয়ে ফিরল অনেক দূরপাল্লার ট্রেন

করোনা সংক্রমণ বাড়ছে বুঝতে পেরেই বছর চারেক আগে কিছু ট্রেনের ভাড়া বাড়িয়ে দিয়েছিল রেল। লক্ষ্য ছিল যাত্রী চাপ কমানো। এখন চার বছর পরে সেই সব ট্রেনে পুরনো ভাড়া ফিরছে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

শেষ আপডেট: ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ১৪:৫৫
Share:

ভাড়া বেড়েছিল করোনাকালে। কমছে ভোটের মুখে। — ফাইল চিত্র।

লোকসভা নির্বাচন দোরগোড়ায়। সেই সময়ে করোনাকালে বেড়ে যাওয়া ভাড়া কমাল রেল। কমল অসংরক্ষিত সাধারণ প্যাসেঞ্জার ট্রেনের টিকিটের দাম। একটু-আধটু নয় ভাড়া কমেছে ৪০ থেকে ৫০ শতাংশ।

Advertisement

করোনাকালে ট্রেনের যাত্রীসংখ্যা কমাতে প্যাসেঞ্জার ট্রেনের দ্বিতীয় শ্রেণির অসংরক্ষিত সাধারণ কামরার টিকিটের দাম এক্সপ্রেসের ভাড়ার মতো করে দিয়েছিল। করোনাকাল শেষ হয়ে গেলেও সেই ভাড়া একই থেকে যায়। সেটাই কমিয়ে আবার করোনাকালের আগের মতো ভাড়া করা হয়েছে।

করোনাকালে ভাড়া বাড়ানোর আগে রেল প্যাসেঞ্জার ট্রেনকে প্যাসেঞ্জার এক্সপ্রেস নাম দিয়ে ভাড়া বাড়ায়। একই ভাবে মেমু এবং ডেমু এক্সপ্রেসও চালু করা হয়। সর্বনিম্ন টিকিটের দাম ১০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৩০ টাকা করা হয়। বৃহস্পতিবার ১ মার্চ থেকে সেই ভাড়া কমে আবার ১০ টাকা হয়ে যাচ্ছে। যে সব ট্রেনের নম্বর শূন্য দিয়ে শুরু হয় সেই সব মেমু এবং ডেমু ট্রেনের সর্বনিম্ন ভাড়াও ৫০ শতাংশ কমানো হয়েছে। গোটা দেশে সব রেলের ক্ষেত্রেই নতুন ভাড়া চালু হয়েছে। রেলের কাউন্টারে তো বটেই, ইউটিএস অ্যাপের মাধ্যমে টিকিট কাটার ক্ষেত্রেও এখন কম ভাড়ার সুযোগ পাওয়া যাবে।

Advertisement

বছর চারেক আগে করোনাকালে ট্রেন ভাড়া বাড়ানো হলেও পরেও তা কেন রয়ে গিয়েছে এ নিয়ে অনেক দিন রেলযাত্রীদের পক্ষে অভিযোগ উঠেছিল। বিভিন্ন যাত্রী সংগঠনের পক্ষেও রেলের কাছে পুরনো ভাড়া ফিরিয়ে আনার দাবি জানানো হয়েছিল। এ বার লোকসভা নির্বাচনের নির্ঘণ্ট ঘোষণার আগে আগে রেল সেই দাবি মেন নিল। বাংলাতেও অনেক ট্রেনেরই পুরনো ভাড়া ফিরিয়ে আনার দাবি উঠেছিল। এ বার মার্চের প্রথম দিন থেকেই স্বস্তি মিলবে বিভিন্ন রুটের প্যাসেঞ্জার, মেমু, ডেমু ট্রেনের যাত্রীদের।

কেন্দ্র সরকারের তরফ থেকে ঘোষণা করা হয়েছে, অসংরক্ষিত সাধারণ প্যাসেঞ্জার ট্রেনের ন্যূনতম ভাড়া কমল ২০ টাকা। সর্বনিম্ন ভাড়া আবার কমিয়ে ১০ টাকা করা হয়েছে। কোভিড মহামারির সময় থেকে সাধারণ প্যাসেঞ্জার ট্রেন, মেল, এক্সপ্রেস-সহ সব ধরনের ট্রেনই চলছিল স্পেশাল ট্রেন হিসাবে। যার ফলে পরিবর্তন হয়েছিল ভাড়া কাঠামোয়। পরবর্তী কালে জীবনযাত্রা স্বাভাবিক হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে মেল, এক্সপ্রেস ট্রেনের ‘স্পেশাল’ তকমা সরানো হলেও প্যাসেঞ্জার ট্রেনগুলিতে এক্সপ্রেস ট্রেনের দরের ভাড়া গুনতে হচ্ছিল।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement