বিধায়ক রাজা ভাইয়া। —ফাইল চিত্র।
শিবপাল যাদবের পরে কপাল খুলতে চলেছে রাজা ভাইয়ারও!
লখনউয়ে মায়াবতীর ছে়ড়়ে দেওয়া বাংলো ভেট পেয়েছেন অখিলেশ যাদবের কাকা, শিবপাল যাদব। অচিরে ‘জেড প্লাস’ নিরাপত্তাও পেতে চলেছেন তিনি। অখিলেশের থেকে দূরত্ব তৈরি করা আর এক নির্দল বিধায়ক রাজা ভাইয়ার জন্যও থাকছে ‘উপহার’। স্বয়ং অখিলেশের ছেড়ে যাওয়া ৪ বিক্রমাদিত্য মার্গের বাংলোটি তিনি পাচ্ছেন।
নিজের মন্ত্রীদের বাদ দিয়ে বিজেপি কেন এত উদার এই নেতাদের উপরে? দিল্লিতে এক বিজেপি নেতা বললেন, ‘‘উত্তরপ্রদেশে বিরোধী জোটে সিঁধ কাটতে এঁরাই তো তুরুপের তাস।’’ কী ভাবে?অখিলেশের সঙ্গে বিবাদের জেরে কাকা শিবপাল যেমন পৃথক দল গড়েছেন, ৩০ নভেম্বর নিজের নতুন দল গড়তে পারেন রাজা ভাইয়াও। ওই বিজেপি নেতার কথায়, ‘‘তিন দলের জোট হলে এসপি ও বিএসপির অনেক নেতাই টিকিট পাবেন না। এমন নেতাদের সঙ্গে নেবেন শিবপাল-রাজা আর ভোট কাটবেন বুয়া-বাবুয়ার।’’
লোকসভা ভোটে মায়া-অখিলেশের সঙ্গে উত্তরপ্রদেশে কংগ্রেসের জোট হবে বলে এখনও আশা করছেন রাহুল গাঁধী। ‘নমো-অ্যাপ’-এর মাধ্যমে দলের কর্মীদের সঙ্গে আলাপচারিতায় অধিকাংশ বিজেপি নেতাই প্রধানমন্ত্রীর কাছে রাহুল গাঁধীর সক্রিয়তা আর মহাজোট নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন। কংগ্রেস বলছে, সেই ভয় থেকেই এখন বিরোধী জোটকে যেনতেন প্রকারে ভাঙবার চেষ্টা করছেন মোদী-অমিত শাহ। কাজে লাগাচ্ছেন অমর সিংহকে। শিবপাল-রাজা ভাইয়াদের দিয়ে বাজি মারতে চাইছেন। বাংলো উপহার সেই অঙ্কেই।
শিবপাল অবশ্য বলছেন, ‘‘আট বারের বিধায়ক আমি, বড় বাংলো তো পেতেই পারি।’’ আরও বলছেন, ‘‘সামনের ভোটে নেতাজিকেও (মুলায়ম সিংহ) আমার দল ‘সমাজবাদী সেকুলার মোর্চা’ থেকে লড়তে বলব। আর তিনি সমাজবাদী পার্টি থেকে লড়লে সেখানে কোনও প্রার্থী দেব না।’’