রিজার্ভ ব্যাঙ্কের গভর্নর রঘুরাম রাজনকে ফের নিয়োগ করা নিয়ে সিদ্ধান্ত সেপ্টেম্বরেই হবে বলে জানিয়ে দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। রাজন-বিতর্ক নিয়ে এই প্রথম মুখ খুললেন তিনি।
বেশ কিছু বিষয়ে মুখ খুলে মোদী সরকারের সঙ্গে সংঘাতে জড়িয়েছিলেন রাজন। সম্প্রতি তাঁর বিরুদ্ধে একের পর এক গোলা ছুড়তে শুরু করেছেন বিজেপি সাংসদ সুব্রহ্মণ্যম স্বামী। তাঁর দাবি, রাজন আমেরিকার একটি বিশেষ গোষ্ঠীর সদস্য। বিশ্ব অর্থনীতিতে মার্কিন আধিপত্য কায়েম রাখাই ওই গোষ্ঠীর উদ্দেশ্য। স্বামীর অভিযোগ, ভারতের অর্থনীতি সংক্রান্ত গোপন তথ্য সারা বিশ্বে পাচার করেছেন রাজন। তাঁকে এখনই সরানো উচিত।
সেপ্টেম্বরে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের গর্ভনরের পদে রঘুরাম রাজনের মেয়াদ শেষ হচ্ছে। তাঁকে পুনর্নিয়োগ করা নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘‘রিজার্ভ ব্যাঙ্কের গর্ভনরের নিয়োগ প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত। আমার মতে, তা নিয়ে সংবাদমাধ্যমের মাথা ঘামানো উচিত নয়। তা ছাড়া বিষয়টি নিয়ে সেপ্টেম্বরের আগে সিদ্ধান্ত নেওয়ার প্রশ্ন নেই।’’ বিজেপি নেতাদের মতে, স্বামীর দাবি মেনে এখনই যে রাজনকে সরানো হচ্ছে না তা বুঝিয়ে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। আবার রাজনকে পুনর্নিয়োগ করা নিয়েও কোনও প্রতিশ্রুতি দেননি তিনি।
রাজনকে ব্যক্তিগত আক্রমণে সায় দেননি অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি। এ দিন বিজেপি সভাপতি অমিত শাহও জানিয়েছেন, এ নিয়ে দলের কোনও অবস্থান নেওয়ার প্রয়োজন নেই।
বিরোধীদের মতে, রাজনকে আক্রমণ করলেও স্বামীর আসল লক্ষ্য জেটলি। কারণ স্বামী অর্থমন্ত্রী হতে চান। তবে বিজেপির একাংশের মতে, স্বামীর পিছনে দল ও সঙ্ঘের একাংশেরও মদত রয়েছে। এক বিজেপি নেতার কথায়, ‘‘অমিত শাহ বলেছেন দলের অবস্থান নেওয়ার প্রয়োজন নেই। কিন্তু লক্ষ করে দেখুন তিনি স্বামীর বিরুদ্ধে কোনও কথা বলেননি।’’