Yunus Khan

‘রামভক্ত’ ইউনুস খানকে টিকিট দেয়নি বিজেপি, বসুন্ধরা অনুগামী প্রাক্তন মন্ত্রী এ বার তাই নির্দল

২০০৩ এবং ২০১৩ সালে নাগৌর জেলার দীদওয়ানা কেন্দ্র থেকে বিধানসভা ভোটে জয়ী হয়েছিলেন একদা রাজস্থান বিজেপির ‘সংখ্যালঘু মুখ’ ইউনুস খান। বসুন্ধরা রাজের মন্ত্রিসভায় দু’নম্বর স্থানও পেয়েছিলেন।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

জয়পুর শেষ আপডেট: ২৩ নভেম্বর ২০২৩ ১৫:৪৯
Share:

ইউনুস খান (বাঁ দিকে) এবং বসুন্ধরা রাজে। — ফাইল চিত্র।

বিজেপি ছাড়ার পরেও ভোটের প্রচারে একই কথা বলে চলেছেন তিনি— ‘‘রাম এবং রহিম দু’জনেই আমার হৃদয়ে।’’ তবে সেই সঙ্গেই রাজস্থানের প্রাক্তন বিজেপি মন্ত্রী ইউনুস খান স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দিচ্ছেন, বিজেপি নেতৃত্ব তাঁকে যে অপমান করেছেন, তা ভুলে যাওয়ার প্রশ্নই নেই।

Advertisement

২০০৩ এবং ২০১৩ সালে নাগৌর জেলার দীদওয়ানা কেন্দ্র থেকে বিধানসভা ভোটে জয়ী হয়েছিলেন রাজস্থান বিজেপির ‘সংখ্যালঘু মুখ’ ইউনুস। হয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী বসুন্ধরা রাজের মন্ত্রিসভার ‘নাম্বার টু’। কিন্তু ২০১৮ সালের বিধানসভা ভোটে তাঁকে নতুন দায়িত্ব দিয়েছিল দল। লড়তে পাঠিয়েছিল টঙ্ক আসনে। তৎকালীন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সচিন পাইলটের বিরুদ্ধে।

সে সময় রাজ্য জুড়ে বিজেপি বিরোধী হাওয়ায় সচিনের মতো নেতাকে হারাতে পারেননি ‘রামভক্ত’ নেতা। এ বার পুরনো আসন দীদওয়ানাতেও তাঁকে টিকিট দেয়নি নরেন্দ্র মোদী-অমিত শাহের দল। আড়াই দশক ধরে বিজেপির সঙ্গে যুক্ত ইউনুস তাই লড়তে নেমেছেন নির্দল হয়ে। শুধু ইউনুস নন। রাজস্থানে এ বার বসুন্ধরা অনুগামী দু’ডজনেরও বেশি নেতার টিকিট ছেঁটেছে বিজেপি। তাঁদের অর্ধেকই দাঁড়িয়ে পড়েছেন নির্দল হিসাবে।

Advertisement

বিদ্রোহীদের এই তালিকায় রয়েছেন প্রধানমন্ত্রী অটলবিহারী বাজপেয়ীর মন্ত্রিসভার সদস্য তথা রাজস্থানের প্রাক্তন স্পিকার কৈলাস মেঘওয়ালের মতো জনপ্রিয় দলিত নেতাও। শাহপুরায় নির্দল প্রার্থী তিনি। চন্দ্রভান সিংহ আক্য (চিতৌরগড়), ভবানী সিংহ রাজাওয়াত (লাডপুরা), জীবরাম চৌধুরি (সাঞ্চোরে), আশা মীনার মতো পরিচিত মুখেরা রয়েছেন এই তালিকায়। গত চার দশকের ভোটের ইতিহাস বলছে, রাজস্থানে পাঁচ বছর অন্তর সরকার বদল হয়। সেই হিসেবে এ বার বিজেপির ক্ষমতা দখলের পালা। কিন্তু অনেক আসনেই ভোটের আগে পদ্ম-শিবিরের চিন্তা বাড়িয়েছেন বিদ্রোহী নির্দলেরা।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন