প্রচার: ‘বিজয় সঙ্কল্প’ যাত্রায় রাজনাথ সিংহ। রবিবার আগরতলায়। ছবি: বাপি রায়চৌধুরী
প্রথম দিন তুলোধোনা করেছিলেন পাকিস্তানকে। ত্রিপুরা সফরের দ্বিতীয় দিন আর এক প্রতিবেশি বাংলাদেশের প্রশংসা করলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংহ।
আগের দিন রাজনাথের হুঁশিয়ারি ছিল, পাকিস্তান একটি বুলেট খরচ করলে ভারতীয় সেনা তিনটি বুলেট ফিরিয়ে দেবে। বাংলাদেশ সম্পর্কে আজ তাঁর বক্তব্য, উত্তর-পূর্বাঞ্চলের বিভিন্ন জঙ্গি সংগঠনের ঘাঁটি ভাঙতে সক্রিয় ভূমিকা নিয়েছে শেখ হাসিনার সরকার। বাংলাদেশ সরকারকে এই কাজের জন্য ধন্যবাদ দিয়ে থাকেন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকারও। ভোটের ময়দানে বাম ও বিজেপি যুযুধান হলেও এই প্রশ্নে রাজনাথের সুর মানিকবাবুর সঙ্গে মিলে গিয়েছে।
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অবশ্য বাংলাদেশের ওই সক্রিয়তার জন্য মোদী সরকারের সঙ্গে তাদের সুসম্পর্ককেই ‘কৃতিত্ব’ দিয়েছেন। আগরতলায় রোড-শো সেরে সভায় তিনি আজ বলেন, ‘‘ত্রিপুরার বিভিন্ন উগ্রপন্থী সংগঠনের গোপন ডেরা ছিল বাংলাদেশে। সেখানকার সরকার তাদের উৎখাত করেছে। তাই ত্রিপুরায় শান্তি এসেছে | বিজেপি-শাসিত কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে বাংলাদেশের সরকারের সম্পর্কের কারণেই এটা সম্ভব হয়েছে। ’’ রাজনাথ এ কথা বলার আগের দিনই ত্রিপুরার সীমান্তে বাংলাদেশের সিলেট অঞ্চলে হবিগঞ্জের চুনারুঘাট এলাকায় প্রচুর পরিমানে অস্ত্র ও রকেট লঞ্চার উদ্ধার করেছে বাংলাদেশের র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন। সেখানে ত্রিপুরার উগ্রপন্থীদের প্রচারপত্রও পাওয়া গিয়েছে বলে সূত্রের খবর।
আরও পড়ুন: অ্যাডভান্টেজ অসম: ২ দিনে লক্ষ কোটি টাকার চুক্তি
রাজনাথের দাবি, অটল বিহারী বাজপেয়ীর আমলেই উত্তর-পূর্বাঞ্চলের উন্নতির শুরু হয়েছে। উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলির জন্য আলাদা মন্ত্রক তৈরি করা হয়েছিল তখন। ত্রিপুরার সঙ্গে সরাসরি ট্রেন সংযোগও বিজেপি সরকার করেছে। পাশাপাশিই তাঁর প্রতিশ্রুতি, রাজ্যে বিজেপি ক্ষমতায় এলে সরকারি কর্মচারীদের জন্য সপ্তম বেতন কমিশন হবে। রাজনাথের মন্তব্য, ‘‘এই রাজ্যে যে পদ্ম ফুটবে, তার ব্যবস্থা মানিক সরকার করেছেন! গত ২৫ বছরে এত আবর্জনা তৈরি করেছে, তার মধ্যেই পদ্ম ফুটবে!’’
আগরতলায় রাজনাথের ‘বিজয় সঙ্কল্প’ রথের সামনে ছিল যুব মোর্চার বাইক মিছিল। দু’পাশে উৎসাহী মানুষের ভিড় ছিল ভালই। বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি বিপ্লব দেবের দাবি, ‘‘নিরপেক্ষ ভোট হবে। সিপিএমের কিছু কিছু আসনে জামানত বাজেয়াপ্ত হবে!’’ আগরতলা-৬ বিধানসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী সুদীপ রায় বর্মণের অভিযোগ, ‘‘এ বার লড়াই হচ্ছে দেশপ্রেমী শক্তির সঙ্গে দেশ-বিরোধী শক্তির। সিপিএমকে গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে উৎখাত করতে হবে। অর্থলগ্নি সংস্থার টাকা থেকে শুরু করে কেন্দ্রের বিভিন্ন প্রকল্পের টাকা সিপিএম লুটেপুটে খাচ্ছে!’’