(বাঁ দিকে) ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহ। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ় শরিফ (ডান দিকে)। —ফাইল চিত্র।
আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দাবি করেছেন, মাটির নীচে পরমাণু অস্ত্র পরীক্ষা করছে পাকিস্তান। এতে ভারতের বিপদের সম্ভাবনা কতটা? রবিবার এই সংক্রান্ত প্রশ্নের জবাব দিয়েছেন দেশের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহ। হিন্দুস্তান টাইম্সকে তিনি জানিয়েছেন, যে কোনও পরিস্থিতির জন্যই ভারত প্রস্তুত।
কিছু দিন আগে ট্রাম্প ঘোষণা করেছিলেন, আমেরিকা পরমাণু অস্ত্র পরীক্ষা করবে। যুক্তি হিসাবে অন্য অনেক দেশের উদাহরণ দিয়েছিলেন তিনি। নাম করেছিলেন পাকিস্তানেরও। তবে কি তলে তলে পরমাণু অস্ত্রের ভান্ডার পরীক্ষা করে রাখছে ইসলামাবাদ? রাজনাথ বলেন, ‘‘যারা যা পরীক্ষা করতে চায়, করতে দিন। আমরা কী ভাবে তাদের আটকাব?’’ তার পরেই ভারতের প্রস্তুতির কথা জানান তিনি। বলেন, ‘‘যা-ই হয়ে যাক না কেন, ভারত সব রকম পরিস্থিতির জন্য তৈরি।’’
পাকিস্তান যদি সত্যিই সকলকে জানিয়ে পরমাণু অস্ত্রের পরীক্ষা করে, তবে কি ভারত তার ভিত্তিতে কোনও পদক্ষেপ করবে? নয়াদিল্লির পরমাণু অস্ত্রের পরীক্ষাও কি করা হতে পারে মাটির নীচে? রাজনাথ সরাসরি এই প্রশ্নের উত্তর দিতে চাননি। বলেছেন, ‘‘আগে ওদের করতে দিন, তার পর দেখা যাবে।’’
গত ৩০ বছরে পরমাণু অস্ত্রপরীক্ষা করেনি আমেরিকা। সম্প্রতি ট্রাম্পের ঘোষণায় তাই জল্পনা বেড়েছে। রাশিয়া এবং চিনের সঙ্গে আমেরিকার বর্তমান সম্পর্কের টানাপড়েনের মাঝে এই জল্পনা আরও জমাট বেঁধেছে। তবে কি যুদ্ধের প্রস্তুতি সেরে রাখতে চাইছেন ট্রাম্প? না শক্তিধর দুই ‘শত্রু’কে পরোক্ষে কোনও বার্তা দিতে চাইছেন? ট্রাম্পের যুক্তি ছিল, রাশিয়া, চিন, পাকিস্তান সকলেই গোপনে পরমাণু পরীক্ষা করে। একমাত্র আমেরিকাই তা এত দিন বন্ধ রেখেছিল।
ট্রাম্পের এই দাবির প্রেক্ষিতে মন্তব্য করেছিলেন ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল। বলেছিলেন, ‘‘অবৈধ, গোপন পারমাণবিক কার্যকলাপের সঙ্গে পাকিস্তানের ইতিহাসের সঙ্গতি রয়েছে। গত কয়েক দশক ধরে চোরাচালান, নিয়মভঙ্গ, গোপনীয়তাকে কেন্দ্র করে ওদের ইতিহাস গড়ে উঠেছে।’’ পাকিস্তান অবশ্য ট্রাম্পের দাবি অস্বীকার করেছে। তারা দাবি করেছে, পারমাণবিক পরীক্ষানিরীক্ষার ক্ষেত্রে তারা একতরফা স্থগিতাদেশ বজায় রেখেছে। গোপনে কোনও পরীক্ষা হয়নি, হচ্ছেও না।