রাজ্যসভায় আক্রমণাত্মক তৃণমূল। ছবি: পিটিআই।
নোট সঙ্কটকে কেন্দ্র করে দ্বিতীয় দিনেই উত্তাল রাজ্যসভার অধিবেশন। প্রধানমন্ত্রীর জবাবের দাবিতে সরব বিরোধী পক্ষ। বিতর্ক শেষে ভোটাভুটিরও দাবি। তুমুল হট্টগোলে দফায় দফায় মুলতুবি রাজ্যসভার অধিবেশন। অন্য সব কাজ বাদ রেখে নোট সঙ্কট নিয়ে বিতর্ক না হলে লোকসভার অধিবেশনে যেন বাধা দেন তৃণমূল সাংসদরা, নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তেমনই নির্দেশ দিয়েছেন বলে সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্যম সূত্রের খবর।
লোকসভার স্বাভাবিক কাজকর্ম বুধবার হয়নি। এক প্রয়াত সদস্যের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে লোকসভা শুরু পরই মুলতুবি হয়ে গিয়েছিল। তাই সংসদের নিম্নকক্ষে শীতকালীন অধিবেশন প্রকৃত পক্ষে আজ, বৃহস্পতিবার থেকেই শুরু হয়েছে। বিরোধীরা আজ লোকসভায় একটি মুলতুবি প্রস্তাব পেশ করেছেন। তাতে নোট সঙ্কট নিয়ে অবিলম্বে বিতর্ক শুরুর দাবি জানানো হয়েছে। বিতর্ক শেষে ভোটাভুটির দাবিও তোলা হয়েছে। কংগ্রেস সহ-সভাপতি রাহুল গাঁধী আজ লোকসভায় ভাষণ দিতে পারেন বলে খবর। কোমর বেঁধে নেমেছে তৃণমূলও। দলনেত্রীর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নাকি তৃণমূল সাংসদদের প্রত্যেককে লোকসভায় হাজির থাকার এবং সরকারের বিরুদ্ধে তুমুল বিক্ষোভ দেখানোর নির্দেশ দিয়েছেন। একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম তেমনই দাবি করেছে। লোকসভার ভিতরে শুধু নয়, বাইরেও বিক্ষোভ শুরু করেছে তৃণমূল। সংসদ ভবন চত্বরেও তৃণমূল সাংসদরা বৃহস্পতিবার সকালে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন।
বিরোধীদের দাবি মেনে রাজ্যসভায় কিন্তু নোট সঙ্কট নিয়ে বিতর্ক বুধবারই শুরু হয়ে গিয়েছে। কংগ্রেস সাংসদ আনন্দ শর্মার বক্তব্যের মধ্যে দিয়ে বিতর্কের সূচনা হয়। তার পর বিজেপি সাংসদ তথা মন্ত্রী পীযূষ গয়াল ভাষণ দেন। সিপিএম সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরিও বুধবারই বিতর্কে অংশ নেন। কিন্তু রাজ্যসভা বুধবার যতটা মসৃণভাবে চলেছে, বৃহস্পতিবার পরিস্থিতি মোটেই ততটা সুবিধাজনক নয়। সকাল থেকেই রাজ্যসভায় বিরোধীরা তুমুল হট্টগোল শুরু করেছেন। তার জেরেই দফায় দফায় মুলতুবি করতে হয়েছে রাজ্যসভা। সরকার পক্ষের তরফে আজ রাজ্যসভায় বিরোধীদের প্রশ্নের জবাব দেবেন অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি। কিন্তু বিরোধীরা প্রধানমন্ত্রীর জবাব চান। সরকার পক্ষ অবশ্য সে দাবি এখনও মানেনি। বিতর্ক শেষে রাজ্যসভায় ভোটাভুটির দাবিও তোলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: খবর কি আগেই ফাঁস, তদন্ত চেয়ে জেপিসি দাবি সংসদে
লোকসভায় বিজেপি তথা এনডিএ-র বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা রয়েছে। তাই লোকসভায় নোট সঙ্কট নিয়ে বিতর্ক শেষে ভোটাভুটিতে যেতে সরকারের কোনও সমস্যা নেই। কিন্তু রাজ্যসভায় সরকার এখনও সংখ্যালঘু। সেখানে ভোটাভুটি হলে সরকারের মুখ পুড়তে পারে। তাই শেষ পর্যন্ত সংসদের কোনও কক্ষেই ভোটাভুটির দাবি সরকার মানবে না বলে মনে করা হচ্ছে।