উপরাষ্ট্রপতি তথা রাজ্যসভার চেয়ারম্যান বেঙ্কাইয়া নায়ডু।
শুক্রবার শেষ হচ্ছে সংসদের বাদল অধিবেশন। তার আগের দিন রাজ্যসভার ডেপুটি চেয়ারম্যান পদে ভোট হবে বলে আজ আচমকা ঘোষণা করলেন উপরাষ্ট্রপতি তথা রাজ্যসভার চেয়ারম্যান বেঙ্কাইয়া নায়ডু। তার পরেই সরকার পক্ষ জানিয়ে দিল, জেডিইউ সাংসদ হরিবংশ নারায়ণ সিংহ তাদের প্রার্থী। তড়িঘড়ি প্রার্থী খোঁজার কাজ শুরু করেছে বিরোধীরাও।
ভোটের দিন ঘোষণার আগে বেঙ্কাইয়া রাজ্যসভায় সরকার ও বিরোধী পক্ষের দুই নেতা অরুণ জেটলি এবং গুলাম নবি আজাদের সঙ্গে আলোচনা করলেও বিরোধীদের দাবি, এর নেপথ্যে রয়েছেন অমিত শাহ। বিরোধীদের খানিকটা অপ্রস্তুত করে এবং শরিক দল থেকে প্রার্থী দিয়ে জয়ের অঙ্ক কষেছেন তিনি। ২৪৪ আসনের রাজ্যসভায় জয়ের জন্য ১২৩ জনের সমর্থন দরকার। বিজেপির দাবি, এডিএমকে, বিজেডি, টিআরএস, ওয়াইএসআর-কে ধরে তাদের পক্ষে ১২৬ জন রয়েছেন। তা ছাড়া, কংগ্রেস, এসপি, আরজেডি থেকেও সাংসদ ভাঙিয়ে আনা যাবে।
কিন্তু আজই পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটির সদস্য নির্বাচনের ভোটে বিরোধীরা একজোট হয়ে এনডিএ প্রার্থী হরিবংশকে হারিয়ে দিয়েছেন। ফলে ডেপুটি চেয়ারম্যানের ভোটেও সরকার পক্ষকে মাত করে দেওয়া সম্ভব বলে মনে করছেন তাঁরা। নিজেদের সাংসদ সংখ্যার হিসেব কষতে আজ বৈঠকে বসেন কংগ্রেস, তৃণমূল, বিএসপি, বাম-সহ বিরোধী দলের নেতারা। হরিবংশকে হারানো তেলুগু দেশম সাংসদ সি এম রমেশও বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
এ দিনের বৈঠকে কোনও নাম নিয়ে আলোচনা হয়নি। কাল ফের বৈঠক। তবে ডিএমকের তিরুচি শিবা, কংগ্রেস সমর্থিত নির্দল সাংসদ কে টি এস তুলসীর নাম আলোচনায় আছে। এনসিপির বন্দনা চহ্বাণের নাম অবশ্য বাদ পড়েছে। টিআরএস বিজেপি শিবিরে থাকলেও তাদের সাংসদ কেশব রাও ব্যক্তিগত ভাবে বিরোধী প্রার্থী হতে আগ্রহী। নবীন পট্টনায়ককে পাশে পেতে বিজেডির প্রসন্ন আচার্যকে প্রার্থী করার প্রস্তাব দিয়েছেন বিরোধীরা।
আরও পড়ুন: ‘অপূর্ব প্রশ্ন গডকড়ীজি! ভারতীয়রা জানতে চাইছেন, দেশে কাজ কোথায়?’
এ দিকে, তাদের সাংসদ নরেশ গুজরালকে প্রার্থী না করায় ক্ষুব্ধ এনডিএ শরিক অকালি। ভোটদানে বিরত থাকার কথাও বলতে শুরু করেছে তারা। বিরোধীদের বক্তব্য, শেষ মুহূর্তে গুজরালকে প্রার্থী করাও অমিতের ‘চিত্রনাট্যে’ থাকতে পারে। বিজেপি নেতাদের একাংশ অবশ্য বলছেন, হরিবংশের নাম প্রস্তাব করে জোট নিয়ে দোলাচলে এবং মুজফ্ফরপুর হোম কাণ্ডে চাপে থাকা নীতীশ কুমারকে পাশে থাকার বার্তাই দিতে চেয়েছেন অমিত শাহ।