শ্লীলতাহানির ভিডিও ভাইরাল, গ্রেফতার ১ যুবক

ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, দুই তরুণীকে ঘিরে ধরেছে এক দল যুবক। সরু একটা রাস্তা ধারে খানিকটা জঙ্গল। আর সে দিকেই ওরা তরুণীদের ঠেলে নিয়ে যাচ্ছে। জোর করে গায়ে হাত দিচ্ছে। সঙ্গে গালিগালাজও। এক সময় তরুণীদের একজনকে চ্যাংদোলা করে ওপরের দিকে ছুড়ে দিল ওদের কয়েক জন। ওরা সংখ্যায় ১৪ জন।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

রামপুর শেষ আপডেট: ২৯ মে ২০১৭ ০৪:১৫
Share:

প্রতীকী ছবি।

অ্যান্টি রোমিও স্কোয়াডের কড়া নজরদারি সত্ত্বেও ফের শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠল উত্তরপ্রদেশে। গত পনেরো দিন ধরে ইন্টারনেটে শ্লীলতাহানির একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছিল। রবিবার সেই সূত্রে এক অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। জানা গিয়েছে, উত্তরপ্রদেশের রামপুর জেলার টান্ডায় ঘটনাটি ঘটেছে।

Advertisement

যদিও কবে ঘটেছে তা জানা যায়নি। ধৃত শাহনওয়াজ কাদরি ওই এলাকারই বাসিন্দা। অন্যদের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ। খোঁজ চলছে ওই দুই তরুণীরও। আক্রান্তদের খোঁজ মিললেই অনেক তথ্য সামনে আসবে বলে মনে করছে পুলিশ।

ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, দুই তরুণীকে ঘিরে ধরেছে এক দল যুবক। সরু একটা রাস্তা ধারে খানিকটা জঙ্গল। আর সে দিকেই ওরা তরুণীদের ঠেলে নিয়ে যাচ্ছে। জোর করে গায়ে হাত দিচ্ছে। সঙ্গে গালিগালাজও। এক সময় তরুণীদের একজনকে চ্যাংদোলা করে ওপরের দিকে ছুড়ে দিল ওদের কয়েক জন। ওরা সংখ্যায় ১৪ জন। মেয়েরা পারবে কেন? তরুণীদের চিৎকার, কান্নাকাটি কিছুতেই মন ভেজেনি হেনস্থাকারীদের। সম্প্রতি সেই ভিডিও হাতে আসায় তদন্ত শুরু করে পুলিশ। সেই সূত্রেই শাহনওয়াজের খোঁজ মিলেছে।

Advertisement

রামপুরের এই ঘটনা যোগী আদিত্যনাথ সরকারের ব্যর্থতা বলেই মনে করছেন বিরোধীরা। মার্চ মাসে উত্তরপ্রদেশে ক্ষমতায় আসার পরে পথেঘাটে মহিলাদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে অ্যান্টি রোমিও স্কোয়াড চালু করেছিল যোগী সরকার। বিরোধীদের মতে, তাতে পরিস্থিতি কিছুই বদলায়নি। কয়েক দিন আগেই নয়ডা থেকে বুলন্দশহর যাওয়ার পথে চার মহিলাকে গাড়ি থেকে নামিয়ে মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে ধর্ষণ করে দুষ্কৃতীরা। পাশাপাশি অভিযোগ, অ্যান্টি রোমিও স্কোয়াডের বাড়াবাড়িতে সাধারণ মানুষেরই হেনস্থা বেড়েছে।

আরও পড়ুন: ১৪ জন মিলে ২ তরুণীর শ্লীলতাহানি, ভিডিও তুলে পোস্ট ইন্টারনেটে!

তবে রামপুরের ঘটনায় বিতর্কিত মন্তব্য করে কড়া সমালোচনার মুখে পড়েছেন সমাজবাদী পার্টির নেতা আজম খান। রবিবার তিনি বলেন, ‘‘মহিলাদের এমন জায়গায় যাওয়া উচিত নয় যেখানে ধর্ষণ বা শ্লীলতাহানির মতো ঘটনা ঘটতে পারে। মেয়েরা পারলে যতটা সম্ভব বাড়িতে থাকুন।’’

এর আগেও মহিলাদের নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্যের জেরে সমালোচনার মুখে পড়েছিলেন এই সপা নেতা। ২০১৬ সালে বুলন্দশহরের রাস্তায় গাড়ি থেকে টেনে নামিয়ে মা ও নাবালিকা মেয়েকে ধর্ষণ করে দুষ্কৃতীরা। সেই ঘটনাকে রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র বলে মন্তব্য করায় বিক্ষোভ-সমালোচনার মুখে পড়েছিলেন আজম খান। এ বার ভিডিও ভাইরালের ঘটনায় যোগী সরকারের সমালোচনা করতে গিয়ে আদতে তিনি দলের মুখ পোড়ালেন বলেই মনে করছে শাসক দল।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন