Ranya Rao Gold Smuggling

রান্যাকে নিরাপদে বার করার নির্দেশ দেন তাঁর বাবা! দাবি পাচারকাণ্ডে ধৃত কনস্টেবলের

ঘটনাচক্রে, দু’দিন আগেই রাজ্য সরকার এই ঘটনায় রান্যার বাবার ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিল। শুধু তা-ই নয়, এই ঘটনায় তাঁর কোনও ভূমিকা রয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখার নির্দেশও দেওয়া হয়।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ১৩ মার্চ ২০২৫ ১৭:১৭
Share:

(বাঁ দিকে) কন্নড় অভিনেত্রী রান্যা রাও। তাঁর বাবা তথা কর্নাটক পুলিশের ডিজি রামচন্দ্র রাও (ডান দিকে)। ছবি: সংগৃহীত।

আরও ঘোরালো হচ্ছে কন্নড় অভিনেত্রী রান্যা রাওয়ের সোনা পাচারের মামলা। এ বার নাম জড়াল তাঁর পুলিশকর্তা বাবা ডিজি রামচন্দ্র রাওয়েরও। কেম্পেগৌড়া এয়ারপোর্ট থানার এক আধিকারিক এমনই দাবি করেছেন। তাঁর দাবি, রান্যাকে বেঙ্গালুরু বিমানবন্দরে সব রকম সহযোগিতা করার জন্য নির্দেশ এসেছিল রাজ্য পুলিশের ডিজি তথা অভিনেত্রীর বাবা রামচন্দ্র রাওয়ের তরফে।

Advertisement

ঘটনাচক্রে, দু’দিন আগেই রাজ্য সরকার এই ঘটনায় রান্যার বাবার ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিল। শুধু তা-ই নয়, এই ঘটনায় তাঁর কোনও ভূমিকা রয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখার নির্দেশও দেওয়া হয়। রাজস্ব গোয়েন্দা অধিদফতর (ডিআরআই) আগেই সন্দেহ প্রকাশ করেছিল, পাচারকারীর ঘটনায় বিমানবন্দরেরই কেউ রান্যাকে সহযোগিতা করেছিলেন। তার পরই এয়ারপোর্ট থানার এক কনস্টেবলের নাম প্রকাশ্যে আসে। বাসবরাজ নামে ওই কনস্টেবলকে (প্রোটোকল অফিসার) গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

বাসবরাজের দাবি, তিনি শুধুমাত্র ডিজি রামচন্দ্রের নির্দেশ অনুসরণ করেছিলেন। তাঁর কাজ ছিল কেম্পেগৌড়া বিমানবন্দরে রান্যার যাতায়াত সুগম করা। শুধু তা-ই নয়, এই কাজ করতেন শীর্ষ আধিকারিকদের নির্দেশেই। বাসবরাজের আরও দাবি, রান্যার গ্রেফতারির দিন সন্ধ্যা ৬টা ২০ মিনিটে একটি ফোন আসে তাঁর কাছে। ফোন এসেছিল রান্যার কাছ থেকে। বাসবরাজের দাবি, রান্যা তাঁকে জানান, তিনি বিমানবন্দরে নেমেছেন এবং তাঁকে বিমানবন্দর থেকে বিনা বাধায় বার করে নিয়ে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করেন। বিমানবন্দর থেকে নিরাপদে বারও করে দেন রান্যাকে। কিন্তু তার পরই রান্যাকে গ্রেফতার করে ডিআরআই।

Advertisement

৪ মার্চ বাসবরাজকে জেরা করার জন্য তলব করে ডিআরআই। কিন্তু সেই সময় পাচারে সহযোগিতা করার সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেন তিনি, ডিআরআই সূত্রে তেমনই দাবি করা হয়েছে। তবে তাঁর কাজ শুধু রান্যাকে বিমানবন্দর থেকে নিরাপদে বার করে দেওয়ার মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল, এমনও দাবি করেন বাসবরাজ। গত ৩ মার্চ সোনা পাচারকাণ্ডে গ্রেফতার হন কন্নড় অভিনেত্রী। আগামী ২৪ মার্চ পর্যন্ত তাঁর বিচারবিভাগীয় হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement